Pahalgam Terror Attack: ধর্মপরিচয়-পরীক্ষা? মেরে ফেলার আগে পহেলগাঁওয়ে ট্যুরিস্টদের কলমা পড়ার নির্দেশ আসে জঙ্গিদের থেকে। কেন? তারা দেখে নিতে চাইছিল, এখানে কারা-কারা মুসলিম, কারা নন। কেন?
ওই আতঙ্ক থেকে বেঁচে ফেরা এক ট্যুরিস্ট বলেছেন, হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছোট থেকে মুসলিম-অধ্যুষিত জায়গায় থাকার কারণে মুসলিম সংস্কৃতির অনেক কিছুই জানেন। এবং তিনি কলমা পড়তে পারেন। সেটাই তাঁকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেয়। কিন্তু ঘটনা যদি এরকমই হয়, তবে তো তা যথেষ্ট চিন্তার। কেননা, জঙ্গিরা কলমার মিসইউজ করছে। ইসলামি সংস্কৃতির অত্যন্ত পবিত্র এক ব্যাপার এই কলমা। অথচ, সেই কলমাকে হাতিয়ার করে হিন্দু-মুসলিম আলাদা করে সন্ত্রাস করছে জঙ্গিরা!
কিন্তু কলমা কী? এই প্রশ্নই এখন সকলের মনে জাগছে। কলমা হল-- ছ'টি পবিত্র বাক্য। যা ধর্মপ্রাণ মুসলিমেরা পাঠ করেন। পাঠ করেন, নিজের ভিতরের বিশ্বাসকে আরও জোরদার করতে। মাদ্রাসায় কলমা পড়ানো হয়। বিশ্বাসের জন্য প্রথম দুটি, তৃতীয় ও চতুর্থটি আল্লার গুণগান, পঞ্চম ও ষষ্ঠ আল্লার কাছে দয়া করুণা ও ক্ষমা প্রার্থনা।
কলমাকে ইসলামে মুসলিমদের বিশ্বাসের একেবারে মূল মনে করা হয়। ছ'টি কলমার দ্বিতীয়টি পড়ানো হয়, যখন কেউ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
তাহলে, আসুন, কলমার সামগ্রিক পরিচয় নেওয়া যাক। প্রথম কলমা হল কলমা তায়াব। পবিত্র শব্দ। যাতে বলা আছে, আল্লাই সব। দ্বিতীয় কলমা হল কলমা শাহাদাত, বিশ্বাসের শব্দ-- যার উপজীব্য আল্লার একত্বে বিশ্বাস এবং প্রফেট মহম্মদই শেষ পয়গম্বর তা ধারণা। তৃতীয় হল কলমা তমজিদ-- যেখানে আল্লার গৌরবত্ব, বিশালত্বের কথা বলা হয়। পরেরটি হল কলমা তৌহিদ, যা একমেবাদ্বিতীয়ম আল্লার কথাই বলে। পঞ্চম হল কলমা অস্তাগফার, কৃত পাপের জন্য আল্লার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা। এবং ষষ্ঠ তথা শেষ কলমাটি হল কলমা রাদ-ই-কুফর, যার উপজীব্য অবিশ্বাস পরিত্যাগ করা। আল্লার কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণই এর লক্ষ্য।
কোথা থেকে এসেছে এই ছয় কলমা? কোরান ও হাদিশকেই এই কলমার উৎস বলে মনে করা হয়।
ধর্মপ্রাণ মুসলিম প্রতিদিনই কলমা পাঠ করেন। নিজেদের বিশ্বাসকে, আল্লার উপর নির্ভরতাকে আরও জোরদার করার জন্য এই কলমাপাঠ। প্রতিদিনের প্রার্থনার শেষে কলমা পড়া বিধি।