িষী তাঁদের জানিয়েছিলেন, রাজা এবং সোনম দু’জনেই মাঙ্গলিক। ঙ্গল দোষকে হাতিয়ার করে রাজাকে খুনের ছক কষে সো...
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি মাঙ্গলিক দোষ শুনলেই চোখে ভাসছে সোনম রঘুবংশী ও রাজা রঘুবংশীর ছবি। জ্যোতিষীই তাঁদের জানিয়েছিলেন, রাজা এবং সোনম দু’জনেই মাঙ্গলিক। একথা জানত সোনম। মঙ্গল দোষকে হাতিয়ার করে রাজাকে খুনের ছক কষে সে।
কিন্তু এই মাঙ্গলিক বা মঙ্গল দোষ কী? কারও জন্মছকের প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম ও দ্বাদশ ঘরে মঙ্গল অবস্থান করলে জাতক বা জাতিকা মাঙ্গলিক। একে মঙ্গল দোষ বলা হয়। মাঙ্গলিক দোষ প্রধানত দুই ধরনের আংশিক এবং একাধিক।
এই দোষ প্রাপ্ত পুরুষেরা প্রকৃতিগত ভাবে আক্রমণাত্মক, অহংকারী এবং রহস্যময় হন। এঁরা স্ত্রীদের ওপর কর্তৃত্ব ফলাতে পছন্দ করেন। মাঙ্গলিক জাতিকারা সত্যবাদী ও রূঢ় প্রকৃতির হন।
মাঙ্গলিকদের সহজে বিয়ে হতে চায় না। বিয়ে হলেও স্বামী বা স্ত্রী মাঙ্গলিক হলে অন্যজনের শরীর খারাপ হয়, এমনকি প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হতে পারে। স্বামী বা স্ত্রী মাঙ্গলিক হলে সংসারে আর্থিক অনটন দেখা দেয়।
এই দোষ কাটানোর একাধিক উপায় রয়েছে। মঙ্গলের অবস্থান শক্তিশালী করুন, বজরংবলীর পুজো করুন, ১০০১ বার হনুমান চালিসা পাঠ করুন। মঙ্গলবার কারও থেকে টাকা ধার নেবেন না।
এমনকী মাঙ্গলিক জাতক-জাতিকাদের মধ্যে বিবাহ, উপোস করা, মন্ত্র পাঠ, গোমেদ ধারণ, ২৮ বছর উত্তীর্ণ হলে বিবাহ করা, হনুমান মন্দির ও নবগ্রহ মন্দির দর্শন করা ভাল।
এই দশা ১৮ বছরের পরে আর থাকে না। এছাড়া শান্তি পুজা পাঠ করালে আংশিক দশা কেটে যায়।
পাত্রী মাঙ্গলিক হলে অশ্বত্থ গাছের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিলে মঙ্গল দোষ কেটে যায় বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
(Disclaimer: প্রচলিত ধর্মীয় রীতি, শাস্ত্র বা তত্ত্বের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি মানা বা না মানার সুপারিশ করা হচ্ছে না। বিশ্বাস ব্যক্তিগত বিষয়। সচেতন পাঠক যা করবেন স্বদায়িত্বে। আমাদের সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)