World War 3 Predictions in Bhavishya Malika by Achyutananda Das: ওড়িয়ার স্বামী অচ্যুতানন্দের ভবিষ্যদ্বাণী আশ্চর্য করে দিচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের মানুষজনকে। ৬০০ বছরের পুরনো এই পূর্বাভাস হাড়হিম করে দেবে আপনারও! ভয়ংকর এক পরমাণুযুদ্ধের কথা বলছেন তিনি!
এতদিন এটা সেভাবে মানুষের নজরে পড়েনি, বা কানে আসেনি। কলিযুগ কবে শেষ হবে, সত্য যুগ কবে আসবে, ভবিষ্যতে যুদ্ধবিগ্র হবে কি না, হলে তার ভয়ংকরতাই-বা কেমন হবে-- এসব নিয়ে সনাতন ধর্মপন্থী ওডিশার স্বামী অচ্যুতানন্দ তাঁর বহুবিখ্যাত কিন্তু কম চর্চিত 'ভবিষ্যমালিকা' গ্রন্থে নানা বিস্ফোরক সব মন্তব্য করেছেন।
'ভবিষ্যমালিকা'য় তিনি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা বলেছেন! ৬০০ বছর আগে এই পূর্বাভাস করা হয়েছিল। তিনি পরিষ্কার বলেছেন, ২০২৫ থেকে ২০২৮-এর মধ্যে এক পরমাণুযুদ্ধ বাধবে। কেন এমন ঘটবে? তিনি বলছেন, মীন রাশির সঙ্গে শনির অবস্থানগত সংযোগের ফলেই এটা ঘটবে! আর, তাই মনে করা হচ্ছে, তা হলে কি এখন সেটাই ঘটছে? শনিদেবই কি প্রকারান্তরে আয়াতোল্লা খামেইনিকে দিয়ে এই যুদ্ধের সূত্রপাত করাচ্ছেন? না, হয়তো স্রেফ মজা করেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছেন কেউ কেউ!
ক্ষমতার জন্যই হবে এই লড়াই! সঙ্গে থাকবে সম্পদের অধিকার এবং ধর্মীয় আধিপত্যের বিষয়টিও। কোনও দেশই এর হাত থেকে রেহাই পাবে না! যুদ্ধে প্রচুর জনক্ষয় ঘটবে। কিন্তু মানবজাতি সম্পূর্ণ এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে!
এই সংকটে ভারতের কী হবে? ভারত এই বিশ্বসংকটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্বের আধ্যাত্মিক গুরুর ভূমিকা পালন করবে সে।
তবে ভারতও কিন্তু এই যুদ্ধের বাইরে থাকবে না। যখন রাশিচক্রের শেষ রাশি মীনের ঘরে শনি প্রবেশ করবে, তখন ভারতেও হবে ভয়ংকর যুদ্ধ! দেখতে গেলে, কিছুদিন আগেই তো সেটা প্রায় ঘটেই গেল!
বলা হচ্ছে, এ আসলে মহাভারতের বাকি থাকা যুদ্ধ! বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র ৩৭.৫ শতাংশ বেঁচে থাকবে। আর ৬২.৫ শতাংশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
মার্চ ২০২৫-এর পপর থেকেই এই যুদ্ধ-প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলতে শুরু করেছে ৬০০ বছরের পুরনো ভবিষ্যদ্বাণী। ওডিয়া ভাষায় রচিত শাশ্বতসত্যের এই সংকলন ভবিষ্যমালিকা শুধু পবিত্রই নয়, অতি গোপনও। এখানে বলা হচ্ছে, বিশ্ব জুড়ে কী ভাবে সনাতন ধর্ম ক্রমশ মহত্তর জায়গায় উন্নীত হবে! ২০৩২ সাল নাগাদ সারা বিশ্বে এই ধর্মেরই রমরমা দেখা দেবে!
(ঋণ: স্বামী অচ্যুতানন্দ বিরচিত 'ভবিষ্যমালিকা' গ্রন্থসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে লিখিত) (Disclaimer: পাঠককে এর কোনও কিছুই বিশ্বাস করার কথা বলা হচ্ছে না। এতে সম্পাদকীয় দফতরের কোনও দায়বদ্ধতা নেই।)