Jyoti Malhotra: জ্যোতি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার ভিসার জন্য দিল্লিতে পাক হাই কমিশনে গিয়ে তার সঙ্গে আলাপ হয় এহসান-ইর-রহিম ওরফে দানিশের। পাক হাই কমিশনের কর্মী দানিশের সূত্রেই তার সঙ্গে আলি হাসানের যোগাযোগ। দু’-দু’বার পাকিস্তানে যায় জ্যোতি। আলিই তার থাকা এবং ঘোরার ব্যবস্থা করে। সন্দেহভাজন পাক গুপ্তচর জ্যোতির জীবনযাত্রা ছিল কার্যত আলিশান। বৈভবে ভরা জীবনযাপন। একের পর এক দেশে বেড়ানো, পাঁচতারা হোটেলে থাকা, এসবের খরচা বহন করতেন কি জ্যোতি একাই?
একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ বলেছেন যে, জ্যোতি মালহোত্রার নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট রয়েছে যার অনেক লেনদেন রয়েছে। এই সমস্ত লেনদেনও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
পহেলগাঁও হামলার আগের সফর এবং চীন সহ জ্যোতির পাকিস্তান ভ্রমণ সবই তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজরে রয়েছে।
ভারতে ফিরে আসার পরেও জ্যোতি, পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জ্যোতি রাজধানীতে পাকিস্তান হাইকমিশনে বেশ কয়েকবার দানিশের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।
ভারত এখন দানিশকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। সে, জ্যোতির সঙ্গে আলী আহওয়ানের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল, এই আলীই পরে জ্যোতিকে পাকিস্তানে থাকার ব্যবস্থা এবং ইসলামাবাদের নিরাপত্তাকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠকের ব্যবস্থা করেছিলেন।
কুমার বলেন যে দানিশ জ্যোতিকে ভারত-বিরোধী সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলছিলেন,যে ক্রমাগত পাকিস্তানকে তথ্য জুগিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন যে তিনি অন্যান্য ইউটিউবারদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছিলেন। বুধবার তাকে স্থানীয় আদালতে হাজির করানো হয়েছে, আদালত তার পুলিশি হেফাজতের সময়সীমা বাড়িয়েছে।
তাঁর তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ এবং হরিয়ানা শিখ গুরুদ্বার কমিটির আইটি ইনচার্জ হরকিরত সিংয়ের দুটি মোবাইল ফোন ফরেনসিক বিশ্লেষণের জন্য পাঠিয়েছেন।
হিসার পুলিশের মুখপাত্র বিকাশ কুমার জানিয়েছেন যে জ্যোতি দানিশের সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন।
হরিয়ানা পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি জানতে পেরেছে যে ইউটিউবার দিল্লিতে পাকিস্তানি হাই কমিশনের কর্মচারী এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। তিনি ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত তার সাথে যোগাযোগ রেখেছিলেন।
জ্যোতি মালহোত্রা দানিশের সাথে যোগাযোগের কথা স্বীকার করেছেন।
হরিয়ানার এই ইউটিউবার, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দেশের অভিযানের সময়, সারা দেশের ব্ল্যাকআউট সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য শেয়ার করেছিল বাইরে।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার (পিআইও) সঙ্গে যোগসূত্রের কারণে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রা পাকিস্তানে অপারেশন সিঁদুরের সময় দেশের গোপন তথ্য সারাক্ষণ পাচার করত পাকিস্তানে।