জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অস্ট্রেলিয়ার সীমিত ওভারের ক্যাপ্টেন অ্যারন ফিঞ্চ (Aaron Finch) কেরিয়ার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। ক্যাঙারু ব্রিগেডের তারকা ব্যাটার জানিয়ে দিলেন, তিনি দেশের জার্সিতে আর ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলবেন না। আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ও তৃতীয় ম্যাচ খেলবে। ইতিমধ্যেই ব্যাক-টু-ব্যাক ম্যাচ জিতে সিরিজে পকেটে পুরে ফেলেছে ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া। কুইন্সল্যান্ডের ক্যাজালিস স্টেডিয়ামে ফিঞ্চ শেষবার হলুদ জার্সিতে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন। এরপরেই ৩৫ বছরের ক্রিকেটার ওয়ানডে অবসর নিয়ে ফেলবেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৪৫টি ওয়ানডে খেলা ফিঞ্চ দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫৪ ম্যাচে। একদিনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলও ফিঞ্চ টি-২০ ফরম্যাটে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন বলেই জানিয়েছেন। গতবার ফিঞ্চের ক্যাপ্টেনসিতে অস্ট্রেলিয়া টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই শুরু হবে টি-২০ বিশ্বকাপ। খেতাব ধরে রাখার লড়াইয়ে নামবে ফিঞ্চের টিম।
ওয়ানডে অবসরের প্রসঙ্গে ফিঞ্চ বলছেন, 'দুর্দান্ত একটা রাইড, অসাধারণ সব স্মৃতি। অনবদ্য একটি ওয়ানডে-দলের সদস্য হওয়া অত্যন্ত ভাগ্যের। একই ভাবে আমি যাদের সঙ্গে খেলেছি এবং যারা নেপথ্যে ছিল, তাদের সঙ্গে কাজ করা আশীর্বাদের মতো। এবার সময় এসেছে একজন নতুন নেতা আসুক। সুযোগের শ্রেষ্ঠ ব্যবহার করে আগামী বছরের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। আমার এই যাত্রায় যারা সাহায্য করেছে এবং সমর্থন করেছে, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।' ২০১৫ বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রলিয়া দলের সদস্য ছিলেন ফিঞ্চ। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার হয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত ফিঞ্চ দেশের হয়ে ১৪৫টি ওয়ানডে খেলেছেন। করেছেন ৫৪০১ রান (সর্বোচ্চ ১৫৩)। ১৭টি সেঞ্চুরি ও ৩০টি অর্ধ-শতরান করেছেন তিনি। চার উইকেটও পেয়েছেন হাত ঘুরিয়ে। ফিঞ্চের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া ২০১৯ বিশ্বকাপের শেষ চারে গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার সিইও নিক হকলি ফিঞ্চের প্রসঙ্গে বলেছেন, 'অ্যারন ঈশ্বর প্রদত্ত ক্রিকেটার। ভীষণ বদ্ধপরিকর। ওর শক্তিশালী চরিত্র ও অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো অধিনায়কত্ব একেবারে ব্যাটের সঙ্গেই মানানসই। ওর ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বুঝিয়ে দেয় যে, ও কতটা স্বার্থহীন। আমি অত্যন্ত খুশি যে, অ্যারন আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেবে। ওর নেতৃত্ব ও ট্যাকটিকাল দক্ষতা আমাদের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।' এখন দেখার অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে ক্যাপ্টেন হিসাবে কাকে বেছে নেয়।