Home> খেলা
Advertisement

Wriddhiman Saha: বোর্ডের চুক্তির অঙ্ক দেখিয়ে ঋদ্ধিকে সমস্যায় ফেলার নতুন ছক শুরু হল!

বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না ঋদ্ধিমান সাহার।

Wriddhiman Saha: বোর্ডের চুক্তির অঙ্ক দেখিয়ে ঋদ্ধিকে সমস্যায় ফেলার নতুন ছক শুরু হল!

নিজস্ব প্রতিবেদন: টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই যেন বিতর্ক ছায়াসঙ্গী হয়ে গিয়েছে ঋদ্ধিমান সাহার ( Wriddhiman Saha)। টিম ইন্ডিয়ার অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটারকে তাঁর করা একাধিক বক্তব্যের জন্য ব্যাখ্যা দিতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (The Board of Control for Cricket in India)। এমনটাই শোনা যাচ্ছে। ঋদ্ধিকে এ বার সম্ভবত প্রশ্ন করতে চলেছে বিসিসিআই। (BCCI)। প্রকাশ্যে মুখ খোলার জন্য বোর্ডের কাছে করতে হবে জবাবদিহি! কিন্তু প্রশ্ন হল পাপালির সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি তো গত অক্টোবর মাসেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। বোর্ডের চুক্তির বাইরে থাকা ক্রিকেটারকে কি আদৌ 'শো কজ' করা যেতে পারে! আর যদি তাঁকে শেষ পর্যন্ত 'শো কজ' করাই হয়, তাহলে বিরাট কোহলি কীভাবে বিসিসিআই-এর থেকে ক্লিনচিট পেলেন? তিনি তো দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে বোর্ড প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কোহলি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, বোর্ড সভাপতি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। 

ঋদ্ধি সম্প্রতি জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির প্রধান চেতন শর্মা (Chetan Sharma) ও হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) সঙ্গে দল নির্বাচন নিয়ে হওয়া তাঁর কথাবার্তা মিডিয়াতে বলেছিলেন। যার মাশুল দিতে হতে পারে ঋদ্ধিকে। কানপুর টেস্টে ৬১ রান করার পর বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) তাঁকে মেসেজ করে অভয় দিয়েছিলেন। সেটাও একাধিক প্রচারমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছিলেন ঋদ্ধি।বিসিসিআই-এর সংবিধান মেনে প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করা কেন্দ্রীয় চুক্তির ধারা লঙ্ঘন করা। 

বিসিসিআই-এর চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের জন্য ৬.৩ ধারায় যে আইন রয়েছে, সেখানে পরিষ্কার বলা হয়েছ, "কোনও প্লেয়ার খেলা, বোর্ডের আধিকারিক ও খেলায় ঘটে গিয়েছে এমন কোনও ঘটনা নিয়ে মিডিয়াকে কোনও মন্তব্য করতে পারবে না। এছাড়াও খেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার, নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় এবং অনান্য় যে কোনও খেলা কেন্দ্রিক বিষয় নিয়েও কথা বলা যাবে না। খেলার স্বার্থে বা বিসিসিআই-এর প্রতিকূলে গিয়ে কোনও মন্তব্যই করা যাবে না।"

কিন্তু চুক্তি লঙ্ঘন করাই যদি হয় তাহলে তো একই দোষে দুষ্ট দলের হেড কোচ। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের শেষে ঋদ্ধি ইস্যুতে রাহুলকে প্রশ্ন করা হলে তিনিও পাপালির সঙ্গে তাঁর আলোচনা ব্যাপারটা স্বীকার করে নেন। রাহুলও তো বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ। তাহলে তিনি কেন দলের অন্দরের কথা প্রকাশ্যে আনলেন? সেটা নিয়েও ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআই কথা বলেছিল বিসিসিআই-এর কোষাধক্ষ্য অরুণ ধুমালের সঙ্গে। সেখানে ধুমাল বলেন, "ঋদ্ধিমান বিসিসিআইয়ের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হয়েও নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছে। এই বিষয়ে হয়তো বিসিসিআই ওর সঙ্গে কথা বলতে পারে। বিসিসিআই সভাপতি ঋদ্ধিমানকে মোটিভেট করার চেষ্টা করেছেন। বিসিসিআই ঋদ্ধিমানের থেকে জানতে চাইবে যে, ও কী করে ড্রেসিংরুমের কথা, কোচের কথা প্রকাশ্যে বলল! এই বিষয়ে বিসিসিআই কয়েক দিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবে।"

টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পরেই একের পর এক বোমা ফাটান ঋদ্ধিমান। তিনি জানিয়ে ছিলেন যে, কানপুর টেস্টের পরেই হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে অবসরের পরামর্শ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি ঋদ্ধিমান এও বলেন যে, বিসিসিআই সভাপকি সৌরভ তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন দলে থাকার ব্যাপারে। যদিও ঋদ্ধির ঘনিষ্টের দাবি যে, গত অক্টোবরেই ঋদ্ধিমানের সঙ্গে বিসিসিআই-এর চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে আর কোনও চুক্তি হয়নি। ফলে বিসিসিআইয়ের কাছে ঋদ্ধিমানকে প্রশ্ন করার জায়গাটা আর থাকছে না।

 

আরও পড়ুন: Rohit Sharma: এখন সবার আগে রোহিত শর্মা! নিজামের শহরে বিশ্বরেকর্ডে টি-২০ সিংহাসনে 'হিটম্যান'

আরও পড়ুন: INDvsSL: Dinesh Chandimal-কে আউট করেই 'Pushparaj' সেলিব্রেশনে মাতলেন Ravindra Jadeja

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

 

 

Read More