Home> খেলা
Advertisement

East Bengal: ১২ বছর পর ট্রফি লাল-হলুদের, ওড়িশাকে হারিয়ে সুপার কাপ, করে দেখালেন কুয়াদ্রাত


East Bengal Beats Odisha FC To Clinch Kalinga Super Cup 2024 Final: বাঁধনভাঙা উচ্ছ্বাসের পালা শুরু। ইস্টবেঙ্গল ১২ বছর পর জিতল ট্রফি। আজ সমর্থকদের ভেসে যাওয়ার দিন।

East Bengal: ১২ বছর পর ট্রফি লাল-হলুদের, ওড়িশাকে হারিয়ে সুপার কাপ, করে দেখালেন কুয়াদ্রাত

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। চলে এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। জাতীয় পর্যায়ে ১২ বছর ট্রফি জিতল ইস্টবেঙ্গল। ২০১২ সালে শেষবার ফেডারেশন কাপ জেতা শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব ২০২৪ সালে এসে জিতল কলিঙ্গ সুপার কাপ (Kalinga Super Cup 2024 Final)। রবিবার অর্থাৎ আজ সন্ধ্য়ায় ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে কার্লেস কুয়াদ্রাতের শিষ্য়রা, অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো খেলায়, ৩-২ গোলে হারিয়ে দিল সের্জিও লোবেরাদের। আর এর সঙ্গেই সারা পৃথিবীর কোটি কোটি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের হাসি-কান্না মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। ডুরান্ড ডার্বিতে তীরে এসে তরী ডুবেছিল। কিন্তু এবার আর না। লাল-হলুদ সমর্থকদের প্রাণভোমরা ওরফে তাঁদের প্রফেসর কার্লেস কুয়াদ্রাত যে স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন, সেই স্বপ্ন এবার বাস্তবায়িত হল। 

আরও পড়ুন: Jannik Sinner: অস্ট্রেলিয়ান ওপেন পেল নতুন মুখ, পিছিয়ে পড়েও মেদভেদেভকে মাত সিনারের

একটাই প্রশ্ন ম্য়াচের আগে ঘুরপাক খেয়েছিল সকলের মনে, ইস্টবেঙ্গল পারবে তো ১২ বছরের ট্রফির খরা কাটাতে? ইস্টবেঙ্গল নাটকীয় ম্য়াচে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে এনে বুঝিয়ে দিল যে, ইস্টবেঙ্গল সেই খোঁচা খাওয়া বাঘ, যারা পিছিয়ে থেকেও কলার উঁচু করে মাঠ ছাড়তে পারে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলছেন, 'হাজার প্রতিবন্ধকতাকে দূরে সরিয়ে ওড়িষার মাঠে ওড়িশাকে হারিয়ে ১২ বছর পর ট্রফি জিতল ইস্টবেঙ্গল। এই জয় ইস্টবেঙ্গলের নয়, এই জয় গোটা বাংলার।' 

 

এদিন ম্য়াচের ৩৯ মিনিটে আহমেদ জহুর থেকে বল পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। ফিজির নায়ক ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দিয়েগো মরিসিওকে বল বাড়ান। মরিসিও গোল করতে কোনও ভুলই করেননি। বিরতিতে ১-০ এগিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ওড়িশা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে ওঠে লাল-হলুদ মশাল। মাথা খাটানোর কাজটাও সেরে নেন কুয়াদ্রাত। সিভেরিও এবং মান্দারকে তুলে মহেশ এবং লালচুংনুঙ্গাকে নামান। ৫২ মিনিটে কুয়াদ্রাত হাতেনাতে ফল পেয়ে যান। লাল-হলুদের গোলমেশিন হয়ে ওঠা নন্দকুমারকে দিয়ে গোল করান মহেশ। উইথ দ্য় বল সোলো রানে মহেশ বল দিয়েছিলেন নন্দাকে। ওড়িশার রক্ষণ ভেঙে নন্দ অসাধারণ গোল করে স্কোরলাইন করেন ১-১। এরপর ৬২ মিনিটে সাউল ক্রেসপো পেনাল্টিতে গোল করে স্কোরলাইন ২-১ করে দেন। 

লাল-হলুদ সমর্থকরা ভেবে নিয়েছিলেন যে, এখানেই ইস্টবেঙ্গল বাজিমাত করে ফেলেছে। তবে এই ব্য়বধান ৯০ মিনিটের পরে যোগ করা সাত মিনিট পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল ধরে রেখেছিল। কিন্তু এটাই যে ফুটবল, কেউ জানে না কখন কী হতে চলেছে। বল নিয়ে মরিসিও বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন। লাল-হলুদ গোলকিপার প্রভসুখন গিল তাঁকে ফাউল করে বসেন। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে বাঁশি বাজান। জহু পেনাল্টিতে গোল করে লাল-হলুদ সমর্থকদের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেন। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ ২-২ ড্র হওয়ায় একস্ট্রা টাইমে গড়ায় খেলা।

৯৭ মিনিটে বিরাট ধাক্কা খায় লাল-হলুদ। দুরন্ত ফর্মে থাকা শৌভিক চক্রবর্তী দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখেন। এবং তাঁকে মাঠ ছাড়তে হয়। ১০ জনে হয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গলও। যদিও এর আগেই ১০ জনে হয়ে গিয়েছিল ওড়িশা। ১১১ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ক্লেটন সিলভা প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন। ওড়িশার গোলকিপারের থেকে বল কেড়ে নিয়ে জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে মাঠের লাল-হলুদ সমর্থকরা। আর এই গোলের কিছুক্ষণের মধ্য়েই খেলা শেষের বাঁশি বেজে যায়।

আরও পড়ুন: WATCH: ২৭ বছর পর এল সেই মুহূর্ত ! উইন্ডিজের বাঁধনছাড়া উচ্ছ্বাস, অঝোরে কাঁদছেন লারা...

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)

 

Read More