জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এবার ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) যদি কলকাতা লিগ (CFL 2024) জিততে না পারে, তাহলে তা অস্বাভাবিক বলেই ধরে নেওয়া হবে। বিনো জর্জের ছেলের, ঘরোয়া লিগের শুরু থেকে একটাই বার্তা দিয়েছে যে, তাঁরা লিগ জেতার দাবিদার। গ্রুপ পর্ব থেকে যে খেলা শুরু করেছে তা সুপার সিক্সেও বজায় থাকল। ৫-৬ গোল দেওয়া এখন জলভাত করে ফেলেছে লাল-হলুদের রিজার্ভ টিম। সোমবার দুপুরে ঘরের মাঠে সুরুচি সংঘকে ৫-০ গোলে হারালেন আমন সিকে, জেসিন টিকেরা। সিনিয়র টিমের পারফরম্য়ান্স যেমনই হোক না কেন, ঘরোয়া লিগে ছোটদের দৌলতে দাউ দাউ করে জ্বলছে মশাল। কে রুখবে এই লাল-হলুদকে! এই জয়ের পর চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল মশালবাহিনী!
আরও পড়ুন: মুছবে ব্রাত্য মহারথীর নাম! ইতিহাসের সামনে বাইশের তরুণ, মায়েস্ত্রো বিরাটও পারেননি
রঞ্জন ভট্টাচার্যর টিম সিএফএলে দারুণ খেলছিল। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের সামনে সুরুচিকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতেই হল। এদিন বিনোর টিম যেন অনুশীলনে নেমেছিল। খেলার ১০ মিনিটের ভিতর চলে আসে প্রথম গোল আমনের সৌজন্য়ে। দুরন্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। ১৭ মিনিটে বিষ্ণু ও ২৩ মিনিটে জেসিনের গোলেই ইস্টবেঙ্গল বিরতির আগে ম্য়াচ পকেটে পুরে ফেলে। প্রথমার্ধ শেষের বাঁশি বাজার আগেই ৪১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের চতুর্থ গোলটি করেন আমন। দ্বিতীয়ার্ধে যদিও তুলনামূলক খেলার গতি কমিয়ে দেয় লাল-হলুদ। ৭২ মিনিটে সুরুচির গোলরক্ষক লাল্টু মণ্ডলের ভুলে মহম্মদ রোশাল গোল করে স্কোরলাইন ৫-০ করে ফেলেন। ১৪ ম্যাচে ৪০ পয়েন্টে নিয়ে অপ্রতিরোধ্য় ইস্টবেঙ্গল। লিগে দুয়ে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার। ১৩ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট কিবু ভিকুনার টিমের। সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে খানিক দূরে ভবানীপুর। ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে এটাই বলা যায় যে, লিগ জয় এখন সময়ের অপেক্ষা।
আরও পড়ুন: বুকে হাত দিয়ে বসে পড়ুন! বিশ্বকাপে আর নেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা...