দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রত্যাশামতোই ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) থেকে স্টিফেন কনস্টানটাইনের (Stephen Constantine) জমানা শেষ হয়ে গিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৩ মার্চ ক্লাব কর্তা ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছিল। শনিবার অর্থাৎ আজ ইমামির (Emami) সঙ্গে ফের এক দফায় বৈঠক করল লাল-হলুদ। এখন প্রশ্ন লেসলি ক্লডিয়াস সরণির তাঁবুতে শনির বৈঠক থেকে ঠিক কী কী বেরিয়ে এল। এদিন ইমামি কর্তা সন্দীপ আগরওয়াল ও সংস্থার মার্কেটিং হেড দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বৈঠকে হাজির ছিলেন। দীর্ঘ বৈঠকের শেষে দেবব্রত কথা বলেন মিডিয়ার সঙ্গে।
দেবব্রত বৈঠকের পর বলেন, 'দেখুন সৌহার্দপূ্ণ বৈঠক হয়েছে। আমরা ড্রাফট বানিয়েছি। ভালো প্লেয়ার, ভালো কোচ নেওয়ার জন্য এবার ঝাঁপাব। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করব। ট্রান্সফার ফি দিয়ে প্লেয়ার নেওয়া আমাদের কাছে অভিপ্রেত নয়। ভাল কোচ নিয়োগ করতে হবে। এর পাশাপাশি প্লেয়ার নেওয়ার জন্য ঝাঁপাব। গতবছরও আমরা ঝাঁপিয়েছিলাম। ১৫ দিনের মধ্যে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করা হবে। আইএসএল খেলানো কোনও কোচই চাইব।' অন্যদিকে দেবব্রত এও বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, হাতে হাত রেখেই লড়াই করবে ইমামি-ইস্টবেঙ্গল। তিনি যোগ করেছেন, 'আমাদের ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের লেগাসি ফেরাতে হবে। আমরা একটাই ক্লাব। কোনও বিভেদ নেই। আমি এই ক্লাবেই বড় হয়েছি। একসঙ্গে টিম করব। ঘুরে দাঁড়াব। আমরা প্রাক্তন প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলব দলগঠন নিয়ে। ' বিদেশি নেওয়ার ক্ষেত্রেও ইস্টবেঙ্গলের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারে স্বচ্ছ। দেবব্রত বলছেন, 'বিদেশি ফুটবলারদের মান নিয়ে বলা কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি। চারজন বিদেশি খেলবে। আমরা ছয় জন বিদেশি চাই। যারা জার্সির জন্য জীবন দিয়ে দেবে মাঠে। কোচ ঠিক হওয়ার পরেই প্লেয়ার ঠিক হবে। প্লেয়াররা পেশাদার। ১৫ দিন পর কোচের নাম ঠিক হলে কেউই রুষ্ট হবে না।' ইভান গঞ্জালেজের রেখে দেওয়া হবে কিনা, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে দেবব্রত জানান যে, সেই সিদ্ধান্ত ক্লাব নেবে।
ওড়িশা এফসি-তে কোচিং করানো স্প্যানিশ কোচ জোসেফ গাম্বাউ হতে পারেন লাল-হলুদের পরবর্তী কোচ। এমনই ময়দানে খবর। তবে কনস্ট্যানটাইনের জুতোয় কি গাম্বাউ পা গলাতে চলেছেন, এই প্রশ্ন দেবব্রত করা হলে, তিনি জানান যে, এই খবর মিডিয়াই জানে। আগামী মঙ্গলবার রাত আটটায় ফের ইস্টবেঙ্গল-ইমামি বৈঠক হবে। ভেন্যু-ইমামির অফিস। এখন দেখার ইস্টবেঙ্গল কোচ হিসেবে কাকে বেছে নেয়! তবে গাম্বাউয়ের নামটা কিন্তু মুছে ফেলা যাচ্ছে না। যেখানে অনান্য বিদেশি কোচরা নিজেদের দেশে ছুটি কাটাচ্ছেন। সেখানে গাম্বাউ কিন্তু চলে এসেছেন খবরে! যা রীতিমতো ভাবাচ্ছে।