ইংল্যান্ড ৬: বেলিংহ্যাম ৩৫', সাকা ৪৩' ও ৬২', স্টারলিং ৪৫+১', ব়্যাশফোর্ড ৭১', গ্রিলিশ ৮৯'
ইরান ২: মেহদি তারেমি ৬৫', ৯০+১৩' (পেনাল্টি)
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার গ্রুপ 'বি'র ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড-ইরান ( England vs Iran)। গ্যারেথ সাউথগেটের দল গতবার রাশিয়া বিশ্বকাপে শেষ চার অবধি গিয়েছিল। এবার ইংল্যান্ড কত দূর যাবে তা, বলতে গেলে ভবিষ্যৎদ্রষ্টা হতে হবে। তবে যে রকম আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেন হ্যারি কেনরা, তাতে করে বলা যায় যে, বাকি দলগুলিকে কিন্তু রীতিমতো সমীহ করতে হবে। প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ড ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিল ইরানকে। কার্লোস কেরোজের ইরান কিন্তু মোটেই হেলাফেলা করার মতো দল ছিল না। এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী টিম তারা। কিন্তু সাউথগেটের শিষ্যরা কার্যত ক্লাব স্তরে নামিয়ে আনলেন ইরানকে।
এদিন প্রথমার্ধের ৩৫ থেকে ৪৬ মিনিটে ইংল্যান্ড আক্রমণের ঝড় তুলেছিল ইরানের বক্সে। যার পরিণাম ১১ মিনিটে একটি বা দু'টি নয়, তিন তিনটি গোল। ৩৫ মিনিটে শুরুটা করলেন জুড বেলিংহ্যাম। বক্সের মধ্যে লুক শ'র ক্রস পেয়ে দুরন্ত লাফ দিয়ে হেডারে বল জালে পাঠিয়ে দেন বেলিংহ্য়াম। এরপর ৪৩ মিনিটে মাউন্ট-স্টারলিংয়ের যুগলবন্দিতে ইংল্যান্ড পেয়ে যায় কর্নার। শ'র দূরপাল্লার আউটসুইঙ্গার নেন। সেখান থেকে হ্যারি ম্যাগুয়ের নীচু করে হেড দিয়ে বল এগিয়ে দেন বুকায়ো সাকাকে। বাউন্স খাওয়া বল ধরেই আগুনে শট নেন আর্সেনালের তারকা। একেবারে টপ কর্নার দিয়ে বল পাঠিয়ে দেন তে-কাঠিতে। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই তৃতীয় গোল পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। বেলিংহ্যাম থেকে কেন হয়ে ক্রস চলে যায় চেলসি তারকা রহিম স্টারলিংয়ের পায়ে। বুটের দুরন্ত টোকায় অনয়াসে বল জালে ঢুকিয়ে দেন তিনি। প্রথমার্ধেই ম্যাচের স্কোরলাইন লিখে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। এদিন প্রথমার্ধে রেফারি ১৪ মিনিট অতিরিক্ত যোগ করেছিলেন। ইরানের গোলকিপার আলিরেজাবেইরানভান্দ রক্তাক্ত হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। দলের ডিফেন্ডার মাজেদ হুসেইনির সঙ্গে তাঁর ধাক্কা লাগে। মাঠে শুশ্রূষার জন্য ও বিকল্প গোলরক্ষক হোসেন হোসেইনি আসা নিয়ে যে সময় নষ্ট হয়েছিল, তাই পরে যোগ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: FIFA World Cup 2022, ENG vs IRAN: মাথা ফেটে রক্তাক্ত গোলকিপার বেইরানভান্দ, ১৪ মিনিট বন্ধ ম্যাচ
দ্বিতীয়ার্ধেও ইংল্যান্ড নিজেদের চেনা আক্রমণ থেকে সরে এল না। সেই সাকা করলেন ফের গোল। ম্যাচের ৬২ মিনিট একক দক্ষতায় চারজন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অসাধারণ গোল করে স্কোরলাইন ৪-০ করেন। ৬৫ মিনিটে ইরানের মেহদি তারেমি দুরন্ত গোলে ব্য়বধান কমান ঠিকই। তবে সাকার পরিবর্তে নামা মার্কাস ব়্যাশফোর্ড যেন পায়ে গোল নিয়েই মাঠে নামলেন। দু'টি টাচে গোল করে বেরিয়ে গেলেন তিনি। এখানেই থামল না ইংল্যান্ডের গোল সুনামি। চলতে থাকল ইরানকে নিয়ে ছেলেখেলা। স্টারলিংয়ের পরিবর্তে নামা জ্যাক গ্রিলিশ কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিলেন ম্যাচের ঠিক ৯০ মিনিটে। ছয় গজ দূর থেকে দুরন্ত কাট ব্যাকে গোল করে দিলেন ম্যান সিটির আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনার মতো পেনাল্টি পেয়ে ইরান ব্যবধান কমায়। এবারও গোলদাতা সেই তারেমি। দ্বিতীয়ার্ধে অতিরিক্ত ১০ মিনিট যোগ করা হয়েছিল।