ভারত: ১৮৪-৬ (কোহলি ৬৪, রাহুল ৫০)
বাংলাদেশ: ১৪৫-৬ (১৬ ওভার) (লিটন ৬০, নুরুল )
ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৫ রানে জয়ী ভারত
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটা সময় লিটন দাস ও এরপর বৃষ্টিই ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাড়িয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার ড্রেসিংরুমে মারাত্মক চাপ। কিন্তু শেষপর্যন্ত স্নায়ুর চাপ ধরে রাখল রোহিত শর্মার দল। অ্যাডিলেডে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে (DL Method) বাংলাদেশকে ৫ রানে হারিয়ে দিল ভারতীয় দল। এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালে্র দিকে অনেকটা এগিয়ে গেল 'মেন ইন ব্লু' ব্রিগেড। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে গ্রুপ ২-এতে শীর্ষে টিম ইন্ডিয়া।
অ্যাডিলেডে বিরাটদের নামার আগে থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা দেখা যাচ্ছিল। বৃষ্টির সম্ভাবনা যে রয়েছে, সেটা আগেই জানতেন সাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan)। সম্ভবত সেকারণেই এদিন টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। এদিন ফের হতাশ করেন অধিনায়ক রোহিত। মাত্র ২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। রোহিত শুরুতে আউট হলেও যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তায় ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট, সেই কেএল রাহুল চাপের মুখে ঝলসে ওঠেন। রোহিতের উইকেটের পরই পালটা আক্রমণের পথে হাঁটেন তিনি। মাত্র ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন টিম ইন্ডিয়ার সহ অধিনায়ক।
রাহুল যখন বাংলাদেশ বোলারদের শাসন করছেন, সেই সময় বিরাট ধীরেসুস্থে খেলছিলেন। রাহুল আউট হওয়ার পর সূর্যকুমার যাদব (Surya Kumar Yadav) অবতীর্ণ হন সংহারকের ভূমিকায়। মাত্র ১৫ বলে ৩০ রান করেন তিনি। কিন্তু সূর্য আউট হওয়ার পর কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত। দ্রুত আউট হন অক্ষর প্যাটেল এবং দীনেশ কার্তিক। বেগতিক বুঝে শেষদিকে মারমুখী অবতারে ধরা দেন বিরাট। শেষপর্যন্ত মাত্র ৪৪ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। শেষদিকে ৬ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলেন অশ্বিনও। সব মিলিয়ে ভারত ২০ ওভারে তোলে ১৮৫ রান।
আরও পড়ুন: KL Rahul, ICC T20 World Cup 2022: কেএল রাহুলকে ফর্মে ফিরতেই হবে, কেন এমন মন্তব্য করলেন রবি শাস্ত্রী?
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। শুরুতেই ২৭ বলে ৬০ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেন লিটন দাস। ফলে পাওয়ার-প্লের শেষেই বাংলাদেশ ৬০ রান তুলে ফেলে। ৭ ওভারে টাইগারদের সংগ্রহ ছিল ৬৬ রান। তখনই মেঘ ভেঙে বৃষ্টি নামে অ্যাডিলেডে। সেসময় ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে বাংলাদেশ ১৭ রানে এগিয়ে ছিল। খেলা ফের শুরু না হলে ম্যাচ হেরেই ফিরতে হত ভারতকে। কিন্তু ভাগ্যদেবতা এদিন সহায় ছিল ভারতের পক্ষেই। খেলা শুরু হওয়ার পর রাহুলের থ্রো-তে রান আউট হয়ে যান লিটন। সেখান থেকে বদলে যায় খেলার গতি। একের পর এক উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু শেষদিকে নুরুল হাসান মাথা ঠান্ডা রেখে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। কিন্তু বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। মাত্র ৫ রানে জিতে এখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানে টিকে রইল টিম ইন্ডিয়া।