জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জেসন স্টিভেন কামিন্স (Jason Steven Cummings)। ২৭ বছরের অস্ট্রেলিয়ার স্কটিশ স্ট্রাইকার, বিগত কয়েক মাসে ঝড় তুলে দিয়েছে ভারতীয় ফুটবলে। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের (Mohun Bagan Super Giant) হয়ে তাঁর আগমনী বার্তা নিয়েই কালি খরচ হয়েছে প্রচুর। এবার সেই কামিন্স চলে এল। সবুজ-মেরুন বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল যে, প্রতীক্ষার অবসান। সবুজ-মেরুনে 'গোলমেশিন' কামিন্স। তিন বছরের চুক্তিতে গঙ্গাপাড়ের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে এলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে এ লিগে নিজের দল সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সকে হ্যাটট্রিক করে চ্যাম্পিয়ন করা ফুটবলার। গত মরসুমে ৪৯ ম্যাচে করেছেন ৩০ গোল। যে ক্লাবেই খেলেন, নিজের সেরাটাই উজাড় করে দেন। বলে বলে গোল করতে পারেন বলেই, 'গোলমেশিন' তকমা জুটেছে চিনে লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলা স্ট্রাইকারের। স্কটিশ কাপে পরপর তিনটি গোল করে, টানা তিনবার সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দুর্লভ রেকর্ডও আছে নটিংহ্যাম ফরেস্ট, রেঞ্জার্স, লুটন টাউনের মতো ক্লাবে খেলা ফুটবলারের। স্কটল্যান্ডের জাতীয় দলের জার্সি পরে দু'টি ম্যাচ খেলার পর তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলা শুরু করেন। অজি ক্লাব সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সে খেলতে এসেই, তিনি ডাক পান সেই দেশের জাতীয় দলে। বিশ্বকাপের ইতিহাস বলছে যে, এক দেশের হয়ে খেলতে খেলতে, অন্য দেশের হয়ে খেলার ঘটনা খুব কমই আছে।
কামিন্স সবুজ-মেরুনে যোগ দিয়ে বলছেন, 'এ লিগের ফুটবলারদের আছে দারুণ গুরুত্ব পাচ্ছে। গত কয়েকবছর ধরেই আমি ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের উপর নজর রাখছিলাম। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের পক্ষ থেকে আমাকে যখন খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়, তখন আমি এই ক্লাবের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করি।জানতে পারি, ভারতীয় ফুটবলে মোহনবাগানের একটা শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ও গৌরবের ইতিহাস আছে। তাছাড়াও এই ক্লাব গতবছর ভারতীয় ফুটবলে সেরা ক্লাবের মর্যাদা পেয়েছে, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি আশাবাদী আগামী তিন বছর আমি মোহনবাগানের ট্রফি ক্যাবিনেটে আরও কিছু ট্রফি এনে দিতে পারব। যখন আমি দলের কোচ জুয়ান ফেরান্দো এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলি তখন বুঝতে পারি যে, শুধু আইএস এল চ্যাম্পিয়ন হয়ে থেমে থাকতে রাজি নন ওঁরা। মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের লক্ষ্য এএফ সি কাপের মতো প্রতিযোগিতায় ভাল ফল করে এশিয়াতে বা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্লাবকে প্রতিষ্ঠিত করা। ক্লাব ম্যানেজমেন্টের এই ভাবনা ও দর্শনের সঙ্গে আমার মানসিকতার মিল রয়েছে। কারণ আমিও চাই, জেতার উদগ্র মানসিকতা নিয়ে সব টুর্নামেন্টে নামুক আমার ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাকেই সবসময় পাখির চোখ করে ঝাঁপাই সবাই।' রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলে সবুজ-মেরুনে যোগ দিয়েছিলেন দিমিত্রি পেট্রাতোস চলে এসেছিলেন সবুজ-মেরুনে। এবার কাতার বিশ্বকাপ খেলে কামিন্স চলে এলেন। ফিজিয়ান স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ না থাকায় মোহনবাগানকে ভুগতে হয়েছিল। দ্বিতীয় পজিটিভ স্ট্রাইকারে হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খেলোয়াড়কে পরখ করেছেন ফেরান্দো। এবার আর সেই সমস্যা থাকল না। পেট্রাতোসের সঙ্গে জুড়ে যাবেন কামিন্স। ছুটবে ডাবল ইঞ্জিন।