জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আইএসএলের (ISL Derby) বড় ম্যাচে (Kolkata Derby) ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান (Mohun Bagan vs East Bengal) ১০ বার মুখোমুখি হল। এই নিয়ে বাঙালির আবেগের মহারণ মোহনবাগান জিতে নিল ৯ বার! ডার্বিতে মোট সাক্ষাতের ইতিহাসে ইস্টবেঙ্গল জয়ী ১৩৩, মোহনবাগান ১৩১। গঙ্গাসাগর মেলা চলায় পুলিস নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে ফিরতি ডার্বি হল গুয়াহাটির ১৯ হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট প্রায় ফাঁকা ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে! শনি সন্ধেতে ব্রহ্মপুত্র তীরে লিগের এক নম্বর দল সবুজ মেরুন ১-০ হারাল ১১ নম্বর দল লাল-হলুদকে। এর আগে ১৯৯৬ সালে বরদলুই ট্রফিতে মোহনবাগান এই মাঠে হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে! ডার্বি জিতেই হোসে মোলিনার টিম ১৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট তুলে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বেঙ্গালুরু এফসি-র (১৫ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট) চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে গেল।
আরও পড়ুন: ইডেনেই দেশের জার্সিতে শামি, ইংরেজদের বিরুদ্ধে আগুনে স্কোয়াড, বাদ একাধিক সুপারস্টার!
ভিন শহরের উত্তাপহীন ডার্বিতে মাত্র ২ মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। গোলদাতা অজি সুপারস্টার জেমি ম্যাকলারেন। লাল-হলুদের হতশ্রী রক্ষণের সুযোগ নিয়েই গোল তুলে নেয় সবুজ-মেরুন। আশিস রাইয়ের পাস আটকাতে পারেননি হিজাজি মাহের, যিনি আগের ম্যাচে পায়ের ফাঁক দিয়ে গোল হজম করেছিলেন। এরপর হেক্টর ইয়ুস্তের কাছে সুযোগ ছিল ম্যাকলারেনকে আটকে দেওয়ার! কিন্তু কোথায় কী! ম্য়াকলারেন ইয়ুস্তেকে নিয়েই লাল-হলুদ গোলরক্ষক প্রভসুখন গিলের পাশ দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন। এই গোলের পর খেলায় আর কোনও গোলই হয়নি!
এই গোল হজম করার পরেই মোহনবাগান চাপ বাড়াতে থাকে। বারবার লাল-হলুদ রক্ষণ ভেঙে ঢুকে পড়ছিলেন মোলিনার ফুটবলাররা। কিন্তু গোল আসেনি। ক্লেটন সিলভা গোলের সুযোগ পেয়েও নষ্ট করে ফেলেন। ওদিনে ২১ মিনিটে মনবীর সিং অবধারিত গোল করতে পারতেন। গিলকে একা পেয়েও সোজা হাতে মেরে দিয়েছিলেন। এরপর ইস্টবেঙ্গলও বিরতির আগে বেশ কয়েকবার মোহনবাগানের রক্ষণ ভেদ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। তবে বাগানের দুরন্ত রক্ষণ ভেদ করা সম্ভব হয়নি অস্কার ব্রুজোঁর টিমের।
বিরতির ঠিক আগে ফের একবার রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। বক্সের মধ্যে মোহনবাগানের আপুইয়া হাতে বল লাগায়ি ফেলেন। তবে রেফারি লাল-হলুদের পেনাল্টির আবেদনে কর্ণপাত করেননি। পেনাল্টি ইস্টবেঙ্গল পেয়ে গেলে খেলার ফল আলাদা হতেই পারত। লাল-হলুদের একজন মাত্র ফুটবলারই নজর কাড়লেন। তিনি পিভি বিষ্ণু, রক্ষণ থেকে আক্রমণ, দুই সামলালেন তিনি। দলের বাকি আর কারোর খেলাই নজর কাড়ল না। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে ইস্টবেঙ্গল ১০ জনে হয়ে যায়। সৌভিক চক্রবর্তী জোড়া হলুদ কার্ড দেখায় মার্চিং অর্ডার পেয়েছিলেন। পরের ম্যাচে তাঁর আর খেলা হবে না। একেতেই চোট-আঘাতে জর্জরিত লাল-হলুদ। তার উপর দোসর কার্ড! আগামী ১৯ জানুয়ারি ইস্টবেঙ্গলের পরের ম্যাচে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে। মোহনবাগান ১৭ জানুয়ারি খেলবে জামশেদপুরের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)