জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এমএস ধোনি (MS Dhoni) ভিন্টেজ কার ও স্পোর্টস বাইক বলতে অজ্ঞান, ভালোবাসার চেয়েও তাঁর কাছে বেশি কিছু। ধোনির ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে গেলে আবার জানা যায় যে, তাঁর প্রিয় খাবার চিকেন বাটার মশালা। এসবের বাইরেও ধোনির ভালোবাসা কিন্তু আরও একটা জিনিস। তা হুক্কা। না মদ-গাঁজা বা বিড়ি-সিগারেট নয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটার হুক্কা অন্তপ্রাণ। ধোনির হুক্কার আসরেই সেরে ফেলতেন টিম বন্ডিং সেশন। এমনটাই জানালেন ধোনির প্রাক্তন সতীর্থ ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার জর্জ বেলি (George Bailey)। অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ক্রিকেট ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেলি ফাঁস করেছেন ধোনির হুক্কা ভালোবাসার গল্প।
'ধোনি সীসা বা হুক্কা টানতে পছন্দ করত। ও নিজের ঘরেই হুক্কার সেট আপ করত। দরজা খোলা থাকত। ওর ঘরে ঢুকলেই দেখা যাবে যে, অনেক তরুণরা বসে রয়েছে ওর সঙ্গে। শুধু ভারতেরই নয়, বিদেশেরও অনেক তরুণরা আসত ওর ঘরে। ও কিন্তু পৌরহিত্য ব্যাপারটাই ভেঙে দিয়েছিল। ওর ঘরে রাতভর পর্যন্ত আড্ডা চলত। কথা হত খেলা ও খেলার বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে। বিভিন্ন মতালম্বী মানুষরা এক সঙ্গে বসত। এভাবেই ও সব বাঁধন ভেঙে দিয়েছিল।' বেলি এক মরসুম সিএসকে-র হয়ে খেলেছেন, আরেক মরসুম খেলেছেন রাইজিং পুণে সুপারজায়েন্টে। ধোনি সর্বকালের সেরা ফিনিশারের পাশাপাশিই বাইশ গজের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অধিনায়ক। জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী আজও কোটি কোটি মানুষের অনুপ্রেরণা। ধোনি একের পর এক প্রজন্মকে বেঁধে রেখেছিলেন তাঁর ক্রিকেটীয় মস্তিষ্ক ও সহজ ভাবে মিশে যাওয়ার ভঙ্গিমায়। ধোনির অবসরের পরেও তাঁকে নিয়ে কথা হয় বিভিন্ন আলোচনায়। সার্বিক বিচারেই ধোনি একজন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার। ধোনি চলে যাওয়ার পর আজও ভারতের আইসিসি ট্রফি অধরা। সাল ২০১৩। ধোনির নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া । তারপর পেরিয়ে গিয়েছে পাক্কা ন'টি বছর। একবারও আইসিসি-র কোন ট্রফি স্পর্শ করতে পারেনি বিরাট কোহলি বা রোহিত শর্মার ভারত।