জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নেইমারের (Neymar) জীবনে প্রেম কিন্তু নতুন কিছু নয়। সুন্দরীদের প্রতি তাঁর ভয়ংকর আসক্তি সকলেরই জানা। ব্রাজিলের 'পোস্টারবয়'-এর জীবনে নতুন বসন্ত আসতেই থাকে। কাতার বিশ্বকাপ থেকে এখনও পর্যন্ত যদি টাইমলাইনটা ধরা হয়, তাহলে নেইমারের জীবনে কখনও
ব্রাজিলিয়ান ইনফ্লুয়েন্সার জেসিকা তুরিনি এসেছেন, তো আবার কখনও নেইমার মজেছেন ব্লন্ড বম্বশেল ফুটবলার অ্যানা মারিয়া মারকোভিচ। তবে যদি নেইমারের জীবনে কোনও এক নারীর কথা বলতে হয়, তাহলে তিনি ব্রুনা বায়ানকার্ডি (Bruna Biancardi)। নেইমার ও ব্রুনা প্রায়ই শিরোনামে থাকেন। এই দুই লাভবার্ড সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভালোবাসার প্রকাশও করেন চুটিয়ে। ব্রুনা একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ও মার্কেটিং ম্যানেজার।
২০২০ সালে নিউ ইয়ার পার্টিতে দেখা হয়েছিল এই নেইমার-ব্রুনার। ২০২১ সালে প্রথমবার ডেট করেন তাঁরা। পরে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন। তবে সেই বছরের আগস্টেই বিচ্ছেদও হয়ে যায় নেইমার-ব্রনার। ২০২৩ সালে ফের প্যাচ-আপ করে নেন তাঁরা। ব্রুনা এখন গর্ভবতী। নেইমারের সন্তানের মা হতে চলেছেন তিনি। ব্রুনা খুব ভালোভাবেই জানেন যে, নেইমারের স্বভাব কেমন। নেইমারকে এবার ব্রুনা দিলেন অবাধ 'স্বাধীনতা'। ব্রাজিল নক্ষত্র অন্য মেয়েদের সঙ্গে ফ্লার্ট থেকে সেক্স সবই করতে পারবেন। তবে নেইমারকে মানতে হবে ব্রুনার তিন শর্ত। ব্রাজিলিয়ান মিডিয়া এম অফ ব্রুনাকে উদ্ধৃত করে লিখেছে, 'নেইমার অন্যদের সঙ্গে ফ্লার্ট থেকে সেক্স করার স্বাধীনতা পাবে।' এবার জানা যাক ব্রুনার তিন শর্ত কী কী? ১) নেইমারকে কন্ডোম পরেই অন্যদের সেক্স করতে হবে। ২) কারোর মুখে চুমু খাওয়া যাবে না। ৩) নেইমারকে এইসব কার্যকলাপ লোকচক্ষুর আড়ালেই করতে হবে। তৃতীয় শর্ত মানতে রীতিমতো লড়তে হবে নেইমারকে। কারণ চলতি বছর ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র দিন নেইমার অন্য মহিলার সঙ্গে টেক্সট চালাচালি করেছিলেন। তা পরে ফাঁস হয়ে যায়।
অলিম্পিক্সের সোনার পদক জয়ী পারেননি বিশ্বকাপ স্পর্শ করতে। তবে তিনি পেরেছেন ইতিহাস লিখতে। জাতীয় দলের জার্সিতে ১২৪ ম্যাচ খেলে পেলের ৭৭ গোলের মাইলস্টোন স্পর্শ করেছেন পিএসজি স্টার। যদি পেলের অবশ্য এই কীর্তি গড়তে লেগেছিল ৯২ ম্যাচ। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের পর জীবনের তৃতীয় বিশ্বকাপ খেললেন নেইমার। তবে ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁকে হয়তো আর দেশের জার্সিতে নাও দেখা যেতে পারে। পরের বিশ্বকাপ খেলার ব্যাপারে নেইমার ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছেন। দেখা যাক নেইমার পরের বিশ্বকাপে খেলেন কিনা! ফ্যানরা যদিও নেইমারকে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবেন ।নেইমার ক্লাব ফুটবলে খেলেন প্যারিস সঁ জরমঁ-র হয়ে। ২০০৯ সালে স্যান্টোসের পেশাদার ফুটবলে প্রথম খেলেছিলেন। ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যান তিনি। সেখান চার বছর লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলেন তিনি। ২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি-তে যান তিনি। প্যারিসের ক্লাবের হয়ে নেইমার আর খেলবেন না বলেও জানা যাচ্ছে।