জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিরাট কোহলি (Virat Kohli) 'ফেক ফিল্ডিং' করেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত এই দাবিতে সরব ছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের (Shakib Al Hasan) দলের অন্যতম ক্রিকেটার। এমনকি ফিল্ডার বিরাটের আচরণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিসিবির অপারেশনাল ম্যানেজার জালাল ইউনুস। তিনি দাবি করেছিলেন বিষয়টি নিয়ে আইসিসি-র (ICC) ছে নালিশ করবে বাংলাদেশ। আর এবার বিরাটের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে বিস্ফোরণ ঘটালেন আকাশ চোপড়া (Aakash Chopra)।
আকাশ বলেন, 'ওটা ১০০ শতাংশ ফেক ফিল্ডিং! বিরাট বল হাতে না নিয়েও থ্রো করার ইঙ্গিত দিয়েছিল। মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার এবং তৃতীয় আম্পায়ার যদি ব্যাপারটা দেখত, তাহলে নিশ্চিত ভাবেই বাংলাদেশকে ৫ রান পেনাল্টি হিসেবে পেত। শুধু তাই নয়। সেই ডেলিভারিটাও 'ডেড বল' বলে বিবেচিত হত। এবং দুই রান দৌড়ে নেওয়ার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে ৭ রান পেত বাংলাদেশ। এমনকি সেই ডেলিভারি 'ডেড বল' হওয়ার জন্য আরও একটি বাড়তি বল খেলার সুযোগ পেত টাইগার্সরা। কিন্তু তেমন কিছু ঘটেনি। কারণ আম্পায়ারের চোখ থেকে এত বড় ঘটনা এড়িয়ে গিয়েছে। ওরা দেখলে বাংলাদেশ কিন্তু জিতে যেত। মনে রাখবেন আমরা কিন্তু ৫ রানে ম্যাচ জিতেছিলাম।'
আকাশ ফের বলেন, 'ভারতীয় দল এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের বার থেকে আম্পায়াররা কিন্তু সজাগ থাকবে। এখানে আরও একটা প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশের অভিযোগ কি সঠিক? হ্যাঁ। ওরা সঠিক বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হল আম্পায়াররা ঘটনার দিকে নজরই দেয়নি। তাই এই ইস্যু নিয়ে এখানেই কথা বলা বন্ধ করা উচিত।'
আরও পড়ুন: Virat Kohli 34th Birthday: কোহলির ৩৪তম জন্মদিনে সেমি ফাইনালে যাওয়ার শপথ নিচ্ছে টিম ইন্ডিয়া
কী ঘটেছিল?
অ্যাডিলেডে বৃষ্টি নামার আগের ঘটনা। বাংলাদেশের ইনিংসের সপ্তম ওভারে অক্ষর প্যাটেলের বলে ডিপ অফ সাইডে বল ঠেলে দিয়ে রান নিতে যান লিটন। বিরাট পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন। অর্শদীপ বল থ্রো করার সময়, বিরাট বল মাঠ থেকে তুলে ছুড়ে দেওয়ার ভঙ্গি করেন। মাঠের দুই আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস এবং ক্রিস ব্রাউনের নজর এড়িয়ে যায় এই ঘটনা। তৃতীয় আম্পায়ারও আপত্তি করেননি। বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের তরফেও কোনও প্রতিবাদ আসেনি। যদিও বাংলাদেশের সমর্থকরা বিরাটের এই আচরণ মেনে নিতে পারছেন না।
শুধু বাংলাদেশের সমর্থক নয়, সাকিবের দলের একাধিক ক্রিকেটারও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষিপ্ত। ম্যাচের পর মিক্সড জোনে দাঁড়িয়ে নুরুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, 'আমরা সবাই জানতাম মাঠ ভিজে ছিল। এর মধ্যে ভুয়ো থ্রো করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রত্যেকে ওই ঘটনা দেখেছে। আমাদের পাঁচ রান পাওয়া উচিত ছিল। তা হলে আমাদের দিকে ম্যাচ ঘুরে যেত। দুর্ভাগ্যবশত, সেটা হয়নি।'
এক্ষেত্রে আইসিসি-র নিয়ম কী বলছে?
আইসিসির ৪১.৫ ধারা অনুযায়ী, ব্যাটারকে কোনওভাবে বাধা দিলে বা বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করলে আম্পায়াররা ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বিপক্ষ দলকে পাঁচ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন।
তবে এই ইস্যুতে মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার মনে করেননি, বিরাট কোনও অপরাধ করেছেন। তাছাড়া মাঠে থাকা দুই আম্পায়ার এবং তৃতীয় আম্পায়ারের চোখ থেকে ঘটনা এড়িয়ে যায়। তাই বিরাটকে শাস্তি দেওয়া হয়নি। যদিও এই ইস্যুটা থামার নামই নেই।