ওয়েব ডেস্ক: তিনি ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ কিনা সে নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে। কিন্তু বিশ্ব দাবার জগতে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ তিনের তালিকায় যে তাঁর জায়গা পাকা, সে নিয়ে কোনও প্রশ্নের অবকাশ নেই। দাবায় পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দের আর নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই। বিশেষজ্ঞরা যখন, তাঁর কেরিয়ারের অবিচ্যুয়ারি লিখতে শুরু করে দিয়ে ছিলেন তখন আবার তিনি ফিরে এসেছিলেন ফিনিক্সের মত। এই ৪৪ বছর বয়সেও ২৪ বছরের কার্লসেনকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ময়দানে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। না, আরও একবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া হয়ত তাঁর হয়নি। কিন্তু হাল ছাড়েননি এই কিংবদন্তী। কার্লসেনের কাছে পরাজয়ের কয়েক দিন পরেই জিতে নিয়ে ছিলেন লন্ডন চেস ক্লাসিক। শুধু পাঁচবার বিশ্ব সেরাই হওয়া নয়, ভারতের প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টারের কৃতিত্ব, সাফল্য নিয়ে লিখতে গেলে হয়ত পেরিয়ে যাবে গোটা একটা দিন। পুরস্কারের সংখ্যা অগুণিত। পেয়েছেন পদ্ম বিভূষণও। এবার তাঁর মুকুটে যোগ হল নতুন আর এক পালক। এই কিংবদন্তীকে এবার একটু ভিন্ন ঢঙে সম্মান জানানো হল। গোটা একটা গ্রহের নামকরণ করা হল আনন্দের নামে।
মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝামাঝি ছোট্ট গ্রহ ৪৫৩৮ পরিচয় এবার থেকে বিশ্বানন্দ (Vishyanand)।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের মাইকেল রুডেঙ্কো একজন চেস বাফ। ব্যক্তিগতভাবে তিনি আনন্দের বিশাল বড় ভক্ত। রুডেঙ্কোই প্রথম ভারতীয় এই দাবাড়ুর নামে একটি গ্রহের নামকরণের প্রস্তাব দেব। সম্প্রতি গৃহীত হয়েছে এই প্রস্তাব।
১৯৮৮ সালে প্ল্যানেট ৪৫৩৮ প্রথম চোখে পড়ে জাপানের জ্যোতির্বিজ্ঞানী কেনজো সুজুকির। কিন্তু, সেই তখন থেকে এই খুদে গ্রহটির ভাগ্যে কোনও নাম জোটেনি। একটা নম্বরের যাঁতাকলেই আটকে ছিল তার অস্তিত্বটাই। আজ বিশ্বনাথন আনন্দের সৌজন্যে পরিচিতি পেল ছোট্ট এই গ্রহটি।