সব্যসাচী বাগচী: রঞ্জি ট্রফি খেলা তো অনেক দূরের কথা, সিএবি-র (CAB) কাছ থেকে ছাড়পত্র চাইলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। সুত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। সোমবার রাতে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) দলে নিজের নাম দেখার পরেই সিএবি (CAB) সভাপতি অভিষেক ডালমিয়ার (Avishek Dalmiya) সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে দুজনের কথা হয়নি। এরপর মঙ্গলবার দুপুরের দিকে দুজনের মধ্যে দীর্ঘ টেলিফোনিক কথপোকথন হয়। সেখানে ঋদ্ধি নাকি অভিষেক ডালমিয়ার কাছে সিএবি-এর অন্যতম যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, সেই কর্তা ক্ষমা না চাইলে ঋদ্ধি আর কোনওদিন বাংলার জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামবেন না। ফলে এই বিতর্কের মীমাংসা না হলে একরোখা ঋদ্ধি যে বাংলার হয়ে খেলবেন না সেটা কিন্তু বলেই দেওয়া যায়।
সুত্রের দাবি অনুসারে, সিএবি-র সেই কর্তা ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। সেই কর্তা প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে ঋদ্ধি নাকি বাংলার হয়ে আর নামবেন না। সেই বার্তাও সংস্থার সভাপতিকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সন্ধেবেলা টানা দেড় ঘন্টার মিটিং-এর শেষে, ঋদ্ধিকে ও মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) দলে রেখেই রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy 2022) দল ঘোষণা করা হয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল গত ঋদ্ধিকে খেলানোর জন্য নাকি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিষেক ডালমিয়া। তবে অন্যদিকে আবার শোনা গিয়েছে যে ঋদ্ধির সঙ্গে নাকি সিএবি-র কোনও কর্তা যোগাযোগই করেননি। সেটা নিয়েও তাঁর আক্ষেপ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পারিবারিক কারণে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্বে খেলেননি। সেইজন্য তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দেবব্রত দাস। তবে ঋদ্ধি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। কারণ তিনি বরাবরই চুপ থকেন। এবং পারফরম্যান্স করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেন। তবে এ বার আর চুপ আর থাকলেন না। ফলে এই বিতর্কের জল যে অনেক দূর গড়াবে সেটা বেশ বোঝাই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: Thomas Cup: লক্ষ্য-শ্রীকান্তদের জন্য বিরাট অঙ্কের নগদ পুরস্কার! ঘোষণা করে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী