Minor Girl Death: ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর কী এমন হল? ১১-র নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে জোর চাঞ্চল্য...

Baruipur: ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়া হয়। তারপর সন্ধ্যের সময় পরিবারের লোকজন দেখতে পায় সে ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ১১-র ফাল্গুনী। নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

প্রসেনজিত্‍ সর্দার: ষষ্ঠ শ্রেণীর মেধাবী এক নাবালিকা ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে গোসাবা ব্লকের সুন্দরবন কোষ্টাল থানার অন্তর্গত লাহিড়ীপুর জহর কলোনি এলাকায়।মৃত ছাত্রীর নাম ফাল্গুনী মণ্ডল(১১)। স্থানীয় রজত জুবিলী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রী। সুন্দরবন কোষ্টাল থানার পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে খবর, ফাল্গুনী ও তার ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। তারপর সন্ধ্যের সময় পরিবারের লোকজন দেখতে পায় সে ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করা হয়। অবশ্য ততক্ষণে সব শেষ। ঘটনার খবর পেয়ে সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠিয়ে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে ফাল্গুনীর বাবা মা কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তাঁরা এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর শুনে বাড়িতে ফিরে আসেন। পাশাপাশি ষষ্ঠ শ্রেণীর ওই ছাত্রীর মৃত্যুর খবর চাউর হতেই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

কী এমন হল যে বাচ্চা মেয়েটি এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল? উঠছে নানান প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার গোসাইবেড় এলাকায় নাবালকের আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। চিপসে্র প্যাকেট কোড়ানো নিয়ে তাকে চোর অপবাদ দেওয়া হয়। আর সেই অপবাদ সহ্য করতে না পেরেই সে এই চরম সিদ্ধান্ত নেয়।

সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রের আত্মহত্যার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রকাশ্যে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে দেখা যায় যে সত্যিই ওই নাবালক চিপসের প্যাকেটটি কুড়িয়েই পেয়েছিল। সেই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর সেই ফুটেজ ঘিরে তৈরি হয়েছে মতবিরোধ। গ্রেফতার ৬ জন বিক্ষোভরত গ্রামবাসী। এদিকে কৃষ্ণেন্দুর মৃত্যুর পর থেকে পলাতক শুভঙ্কর। 

আপনি কি অবসাদগ্রস্ত? বিষণ্ণ? চরম কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। আপনার হাত ধরতে তৈরি অনেকেই। কথা বলুন প্লিজ... 
iCALL (সোম-শনি, ১০টা থেকে ৮টা) ৯১৫২৯৮৭৮২১
কলকাতা পুলিস হেল্পলাইন (সকাল ১০টা-রাত ১০টা, ৩৬৫ দিন) ৯০৮৮০৩০৩০৩, ০৩৩-৪০৪৪৭৪৩৭