জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারত-পাকিস্তানে উত্তেজনা আবহে সোশ্য়াল মিডিয়া কেউ ভারতবিরোধী পোস্ট শেয়ার করছেন, তো কেউ আবার বানিয়ে ফেলছেন মিমি! রাজ্যজুড়ে ধরপাকড় অব্যাহত। পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, আসানসোল ও কাটোয়া থেকে মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। বারাসতে আবার এক যুবককে রীতিমতো গণধোলাই দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।
পুলিস সূত্রে খবর, আসানসোলের বারাবনির পুচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মদনপুর গ্রামের বাসিন্দা শরীফ মীর। গতকাল সোমবার রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। স্রেফ পাকিস্তানের সমর্থনে স্লোগান নয়, ফেসবুকে শরীফ ভারতের জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর তাতেই ক্ষুদ্ধ হন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর তদন্তে নামে পুলিস। জামুড়িয়ার একটি আয়রন স্পঞ্জ কারখানায় কাজ করে শরীফ। ধৃতকে সাতদিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর এগরায় আবার পুলিসের জালে এক শিক্ষক। ধৃতের নাম সামসের আলম খান। বাড়ি, এগরা ২ নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সাসমের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত বিরোধী মন্তব্য ও পাকিস্তান সমর্থনে পোস্ট করার অভিযোগ দায়েক করেন স্থানীয় এক বাসিন্দারাই। জিজ্ঞাসাবাদের পর, প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিস।
'যুদ্ধে জড়াতে না জড়াতেই পাকিস্থানের কাছে পরাজয় স্বীকার করল ভারত'। ফেসবুকে এমনই পোস্ট দিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া দাঁইহাটের বাসিন্দা মিলন সেখ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগে প্রেক্ষিতে মিলনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এরপর অভিযুক্তের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।
একই ঘটনা ঘটেছে বারাসাতে। চাপাডালি মোড় সংলগ্ন মাংস বিক্রি করেন রিজুয়ান কুরেশি নামে এক ব্যক্তি। ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। যাতে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পায়ের ধরে নত হয়ে বসে রয়েছে ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী! এরপর আজ, মঙ্গলবার সকালে রিজুয়ানের উপর চড়াও হন একদল মানুষ। রীতিমতো মারধর করে ওই যুবককে তুলে দেওয়া হয় পুলিসের হাতে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)