বিধান সরকার: হাসপাতালে ভয়! কিন্তু শরীরটাও যে ভালো যাচ্ছিল না। বাড়ির কাছেই এক হাতুড়ে চিকিত্সকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। বেঘোরে মৃত্য়ু হল প্রৌঢ়ের। ভুল চিকিত্সার অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ার।
আরও পড়ুন: Pak spy: ঘরে বসে দেশের শত্রু! বাংলা থেকে জালে ২ পাক-গুপ্তচর! পহেলগাঁও হামলার আগেই...
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম কৃষ্ণ কর্মকার। বাড়ি, চুঁচুড়ার কোদালিয়া এলাকায়। হাসপাতালে যেতে নাকি ভয় পেতেন তিনি! স্ত্রী জানিয়েছেন, হালকা জ্বর হয়েছিল কৃষ্ণের। সঙ্গে পায়ে টান আর শ্বাসকষ্টও। গতকাল, হুগলি স্টেশন রোডে এস কে বৈদ্য নামে এক হাতুরে চিকিত্সকের চেম্বারে যান ওই প্রৌঢ়। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও শ্বাসকষ্টের জন্য় ইনহেলার তো দেনইনি, উল্টে ওই চিকিত্সক তাঁকে পরপর পাঁচটি ইঞ্জেকশন দিয়ে দেন বলে অভিযোগ। এরপর আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃষ্ণ।
পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে নিজেই অটো ডেকে রোগীকে ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানোর করেন অভিযুক্ত চিকিত্সকই। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় কৃষ্ণের। মৃতের স্ত্রী বলেন, 'এমবিবিএস ডিগ্রি বা রেজিস্ট্রেশন নেই জানতাম। পাড়ার একজন বলেছিল, তাই ওর কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল'। ছেলে জানান, 'আমরা স্বাস্থ্য় দফতরে অভিযোগ জানাব। বাবার সঙ্গে যেটা হয়েছে, আর কারও সাথে যেন না হয়'।
এদিকে চেম্বার বন্ধ। অভিযুক্ত চিকিত্সককে আর ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় এক ব্য়বসায়ী বলেন, 'প্রায় ৩০ বছর ধরে এলাকার ডাক্তারি করছেন তিনি। গতকাল(সোমবার) রোগী যখন এসেছিল, তখন নিজেই হাঁটাচলা করছিলেন। তারপর কী হল তড়িঘড়ি চেম্বার বন্ধ করে দিয়ে চলে গেলেন'। জানান, 'আগে ওষুধের দোকানে চেম্বার করতেন। এখন নিজেই আলাদা চেম্বার খুলেছেন'।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ছাপানো প্য়াডে নয়, সাদা কাগজে স্ট্যাম্প মেরে প্রেসক্রিপশন লেখেন ওই চিকিত্সক। সেখানে কোথায় কোন কোন সময়ে রোগী দেখেন, তা লেখা থাকে। প্রেসক্রিপশন এর মাথায় লেখা 'জেনারেল ফিজিশিয়ান'।
আরও পড়ুন: Tarkehswar: এলাকার একশো মহিলার সঙ্গে.... কার্তিককে খুঁজছিল পুলিস, অবশেষে...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)