প্রসেনজিত্ মালাকার: আইসিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার ঘটনায় হাজিরা এড়িয়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। এদিন, বোলপুর এসডিপিও অফিসে তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল পুলিস। তাঁর ৭ জন আইনজীবীর দল এদিন এসে হাজিরা না দেওয়ার কারণ জানিয়ে যান৷
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: 'বড় নেতারা না ডাকলে আমি...', অমিত সফরেও ব্রাত্য দিলীপ!
জানা গিয়েছে, সোমবার জামিন নেবেন অনুব্রত মণ্ডল ৷ এছাড়া, তদন্তের স্বার্থে অনুব্রত মণ্ডল ও বোলপুর থানার আইসির মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে পুলিস সূত্রে খবর ৷ এদিন, অনুব্রতর হাজিরার দিন থাকায় শান্তিনিকেতন থানা ও এসডিপিও অফিসের দুদিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিস বাহিনী। তবে পুলিসের তরফে দ্বিতীয় নোটিশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে।
অভিযোগ, বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে চূড়ান্ত অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সেই অডিয়ো ক্লিপ এই মুহুর্তে ভাইরাল৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য পর্যন্ত এক্স হ্যাণ্ডেলে পোস্ট করে রাজ্যের পুলিসমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হন।
রাজ্য জুড়ে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হতেই অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ৭২, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ বিএনএস ধারায় মামলারুজু করে পুলিস। দুটি ধারা জামিন অযোগ্য। বীরভূম জেলা পুলিস সুপার আমনদীপ সিং জানা, কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ এরপরেই বোলপুরে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হাজরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এই মামলার তদন্তকারী অফিসার হলেন বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল। তবে এদিন হাজিরা দিলেন না অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ৭ জন আইনজীবীর দলের মধ্যে বিপদতারণ ভট্টাচার্য, পলাশ মুখোপাধ্যায়, কৌশিক সরকার ও মণিশঙ্কর পাল বোলপুর এসডিপিও অফিসে কথা বলেন ৷
জানা গিয়েছে, সময় চেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। পুলিস সূত্রে পরে ফের একটি হাজিরার নোটিস জারি করা হয়েছে পুলিসের তরফে ৷ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার জামিনের আবেদন করবেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে এদিন অনুব্রত মণ্ডলের হাজিরার দিন থাকায় শান্তিনিকেতন থানার পুলিসের তরফে এসডিপিও অফিসের দুদিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল৷
বিশাল পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল৷ অনুব্রত অনুগামীদের বিশৃঙ্খলা করার আশঙ্কা ছিল। তাই আগাম ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিস৷ তবে, ঘটনার পরে পরেই চাপে পরে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাছে লিখিত ভাবে ও ভিডিয়ো বার্তায় ক্ষমা চেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
অন্যদিকে, অনুব্রতকে গ্রেপ্তারির দাবিতে বীরভূম জেলার অন্যান্য থানায় ডেপুটেশন দিচ্ছে বিজেপি নেতা-কর্মীরা। আইসিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতে কার্যত মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল-কংগ্রেসের৷
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)