চম্পক দত্ত: গতকালই ছিল আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা, শুরুও হয়েছে কালবৈশাখির দাপট! গতকাল চন্দ্রকোনায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-শিলাবৃষ্টি ও ব্যাপক ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে জলে ডুবেছে পাকা ধান-সহ বাদাম, তিল ও বিভিন্ন সবজি।
চাঁদিফাটা রোদ, গুমোট গরমে বৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা ছিল হয়তো। থাকলেও, এতটা বৃষ্টি বোধ হয় জরুরি ছিল না। অত্যধিক বৃষ্টি, সঙ্গে শিলাবৃষ্টি। আর এর জেরে জলে ডুবল পাকা ধান-সহ তিল,বাদাম। ফলে এই বিভিন্ন ফসল নষ্টের আশঙ্কায় ভুগছেন কৃষকরা।
আবহাওয়াতেও কিন্তু খুব একটা বদল আসেনি। গতকালের পরে আজ, শুক্রবারও আকাশের মুখভার। সকাল থেকে কখনও কখনও রোদের দেখা মিললেও অধিকাংশ সময় জুড়ে আকাশের মুখভার। ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এখনও। আর এতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের।
ফের ঝড়বৃষ্টি হলে এবার চরম ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে কৃষকদের, বিশেষ করে ধানচাষিদের। চন্দ্রকোনা কৃষিপ্রধান এলাকা। আলুচাষের গড় বলে পরিচিত। তবে আলুচাষের গড় বলে পরিচিত হলেও চন্দ্রকোনা ধান, তিল, বাদাম-সহ বিভিন্ন সবজি চাষের জন্যই খ্যাত।
চন্দ্রকোনার বৈকুণ্ঠপুর, হরিসিংপুর-সহ একাধিক জায়গায় গতকাল ব্যাপক বৃষ্টির জেরে এখনও জলে ডুবে সেখানকার পাকা ধান-সহ তিল,বাদাম। জলে ডোবা ফসল নষ্ট এড়াতে মাঠে হাত লাগিয়েছেন কৃষকরা। এখনও মাঠ ভরে রয়েছে পাকা-কাঁচা ধানে। ফের বৃষ্টি হলে চরম ক্ষয়ক্ষতি হবে ধানচাষের। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তড়িঘড়ি কাঁচা-পাকা ধান কেটে খামারে তুলতে ব্যস্ত কৃষকেরা!
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)