জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চাঁদের পর এবার সূর্যবিজয় লক্ষ্য ইসরোর। শনিবার বেলা ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আদিত্য L1-কে। ভারতের প্রথম সৌর মিশন আদিত্য L1। উৎক্ষেপণ সফল বলে জানিয়েছে ইসরো। আদিত্যর গন্তব্য ল্যাগ্রেজ পয়েন্ট। পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে কক্ষপতে স্থাপিত হবে আদিত্য এল ওয়ান। কক্ষপথে পৌঁছতে সময় লাগবে ১২৭ দিন। সূর্যকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করবে আদিত্য এল ওয়ান। সূর্যের গতিবিধি, সূর্য গ্রহণ, সৌরঝড় সহ সূর্যের একাধিক রশ্মির ছবি তুলে ইসরোকে পাঠাবে।
এখন বিশ্বের ৫ প্রান্ত থেকে আদিত্য L1-এর যাত্রাপথ নিয়ন্ত্রণের দিকে নজর রাখা হবে। শ্রীহরিকোটা ছাড়া আন্দামান, ব্রুনেই, ফিজি এবং আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের মাটিতে বসেও কাজ করবেন বিশেষজ্ঞরা। চন্দ্রযান-৩-এর মত ইসরোর এই সোলার মিশনেও রয়েছেন বঙ্গ সন্তানরা। এই দলে রয়েছেন নদিয়ার বরুণ বিশ্বাস। উৎক্ষেপণের সময় থেকে রকেট ঠিক কক্ষপথে যাচ্ছে কিনা, সেইদিকে লক্ষ্য রাখবেন তিনি। নদিয়ার হরিণঘাটা থেকে শ্রীহরিকোটায় আছেন দিব্যেন্দু নন্দী। আদিত্যর ৭টি প্রধান যন্ত্রের মধ্যে অন্যতম ‘সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ’। এই টেলিস্কোপের নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। দিব্যেন্দু নন্দী কলকাতার ‘সেন্টার অব এক্সসেলেন্স ইন স্পেস সায়েন্স, ইন্ডিয়া’-র বিভাগীয় প্রধান।
চন্দ্রযান ৩-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বীরভূমের সিউড়ি-১ নম্বর ব্লকের রায়পুরের বাসিন্দা সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও মল্লারপুরের বিজয় দাই। তাঁরা দু’জনে এই সোলার মিশনের সঙ্গেও যুক্ত আছেন। একইরকমভাবে কোচবিহারের পিনাকীরঞ্জন সরকারও চন্দ্রযান ৩-এর পর এই আদিত্য L1 মিশনেও যুক্ত আছেন। ভারতের প্রথম সোলার মিশনে আছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির বাসিন্দা কৌশিক মণ্ডলও। খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তনী রানিগঞ্জের সানি মিত্রও রয়েছেন এই মিশনে। আদিত্যর ‘বিকাশ’ ইঞ্জিনের দেখভালের দায়িত্বে থাকা দলের সদস্য তিনি। খড়গপুর আইআইটি থেকে এমটেক করে ২০১৮ সালে তিনি ইসরোয় যোগ দেন। মিশন নিয়ে প্রত্যেকেরই উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে। তাঁদের কথায়, মিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাতে নিশ্চিন্তে ঘুম হবে না।
আরও পড়ুন, Aditya L1 India's Solar Mission: সূর্য মিশনে উড়ে গেল আদিত্য এল ১, জেনে নিন এর খুঁটিনাটি