প্রসেনজিৎ মালাকার: ওড়িশার কলেজে অধ্য়াপকের যৌন হেনস্থার শিকার হয়ে ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় যখন দেশজুড়ে তোলপাড়, ঠিক তখনই সামনে এল এরাজ্যের এক স্কুলের ভয়াবহ ছবি। ছাত্রীদের চরম নিগ্রহের অভিযোগ উঠল শুধু শিক্ষক নয়, তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধেও। নিগ্রহের জেরে অসুস্থ কমপক্ষে ১২ জন ছাত্রী।
ভয়ংকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বেসরকারি একটি স্কুলে। বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দিপুরে অবস্থিত ওই স্কুলটি। অভিযোগ, সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালন কমিটির সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল স্কুলেরই জীববিদ্যার শিক্ষক কে আলম ও তাঁর স্ত্রী মাসুমা আলমের। আজ স্কুলে ওই শিক্ষক ক্লাসে পড়াতে গেলে ছাত্রীরা তাঁর ক্লাস করতে রাজি হননি।
অভিযোগ, তারপরই ছাত্রীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন ওই শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী। ছাত্রীদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে শিক্ষক কে আলম ও তাঁর স্ত্রী মাসুমা আলমের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে কমপক্ষে ১২ জন ছাত্রী। তাদের উদ্ধার করে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ওই ১২ জন ছাত্রী।
ওদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রামপুরহাট থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে বীরভূমের রামপুরহাট থানার পুলিস।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)