প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডলের গড়েই এবার ধরাশায়ী তৃণমূল। বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের সমবায় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেল বিজেপি। খাতাই খুলতে পারল না শাসকদল। 'স্থানীয় নেতৃত্বের যদি কোনও খামতি না থাকত, তাহলে এমনটা হত না', অকপট স্বীকারোক্তি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের।
আরও পড়ুন: 21 July: 'যা পারছে, তাই করছে', একুশে জুলাইয়ে ব্যানারে এবার.. তুমুল বিতর্ক...
ভোট হল ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের র ইটাহাট কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতিতে। ফলাফল? সমবায় সমিতির ৯ আসনেই জিতলেন বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীরাই। একটি আসনেও জিততে পারল তৃণমূল। এদিন ফল ঘোষণার উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। ঢাল-ঢোল নিয়ে বিজয় মিছিল বের করেন তাঁরা। বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, 'এই সমবায়ে বহু বছর ধরে কোনও নির্বাচন হয়নি। আমরা আগে থেকেই বলেছিলাম, যদি সঠিক ও অবাধ নির্বাচন হয়, তাহলে বিজেপিই জয় পাবে। আজকের এই ফল সেই বক্তব্যের প্রমাণ'। তাঁর দাবি, 'রাজ্যজুড়ে যদি অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হয়, তাহলে বাংলায় বিজেপিকেই মানুষ বেছে নেবে'।
এদিকে বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল। অনুব্রত মণ্ডল আর জেলা সভাপতি নন. বীরভূমের দায়িত্বে এখন কোর কমিটি। কোর কমিটি সদস্য, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বলেন, 'কোর কমিটির তরফ থেকে সমস্ত এলাকায় দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া রয়েছে। এই এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন মন্ত্রী চন্দনাথ সিংহ। তাঁকে প্রশ্ন করলে ভালো হয়। তবে এটা ঠিক, স্থানীয় নেতৃত্বের যদি কোনও খামতি না থাকত, তাহলে এমনটা হত না'। তাঁর মতে, 'এই নির্বাচনের ফলের কোনও প্রভাব আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে না। বীরভূমের এগারোটার এগারোটাই আসনে তৃণমূল কংগ্রেসই জয়লাভ করবে। এবং কোর কমিটির আগামী বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে'।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা কিন্তু বলছেন, এই ফলাফল তৃণমূলের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যদিও এটি একটি সমবায় সমিতির নির্বাচন, তবু তৃণমূলের ভিতরে সংগঠনের দুর্বলতাকেই স্পষ্ট করে । বিজেপি শিবির অবশ্য এই জয়কে ব্যবহার করে আগামী দিনের বড় লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি করতে চায়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)