জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত বুধবার রাতে সিকিমের মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে সৃষ্টি হয়েছিল প্রবল জলোচ্ছ্বাস। সেই জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতি হয় মাল ব্লকের গজলডোবার তিস্তা নদীর গাইড বাঁধেরও। সেই দিনই সন্ধ্যানাগাদ ভেঙে যায় প্রায় ১০০ মিটার গাইড বাঁধ। এরপর বুধবার থেকেই ঘটনাস্থলের সেচ দফতরের আধিকারিক, বিডিও এবং পুলিস প্রশাসনের কর্তারা আসতে থাকেন। বৃহস্পতিবার থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভাঙা বাঁধ মেরামত করার কাজও শুরু করে সেচ দফতর। কিন্তু মাঝিদের সংসারে পুজোর আগেই উল্টে গেল হাঁড়ি।
সিকিমের মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীতে ঘটা প্রবল জলোচ্ছ্বাস ও তজ্জনিত প্লাবনে বড় সমস্যা হয়েছে গজলডোবার মাঝিদের। বিশেষ করে যাঁরা তিস্তার ঝিলে নৌকা করে পর্যটকদের ঘোরান। কারণ, এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিস্তা নদীর পাশে যে ঝিল রয়েছে, সেই ঝিলের সমস্ত জল তিস্তা নদীতে গিয়ে মিশেছে। ফলে, শুকিয়ে গিয়েছে বিশালাকার এই বোটিং ঝিল। তাই ঝিলে বোটিংও বন্ধ। ঝিলে জল না থাকায় নৌকা চলাচলের তো কোনও কথাই উঠছে না! আর এতেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন গজলডোবার ব্যবসায়ী থেকে মাঝিরা।
জানা গিয়েছে, তিস্তার জলের ধাক্কায় এই বাঁধ ভেঙে গেলেও এই ঝিল থেকে তিস্তা নদী কিছুটা নীচে রয়েছে। তাই গাইড বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় ঝিলের সমস্ত জল শুকিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Budh Gochar: পুজোর ঠিক আগেই কোন কোন রাশির জীবনে ঝরে পড়বে বিপুল সৌভাগ্যের সোনার আলো...
কবে স্বাভাবিক হবে এই ঝিলের জল, এখন সেই দিকেই তাকিয়ে এলাকার মাঝিরা। গত বৃহস্পতিবার গজলডোবায় আসেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তিনি জানান, দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ হবে। তবে যেভাবে বাঁধটি ভেঙে গিয়েছে, তাতে এই বাঁধ ঠিক হতে যথেষ্ট সময় লাগবে। এর উপর এই ঝিলের জল কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে চিন্তিত সাধারণ মানুষজনও।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)