Home> রাজ্য
Advertisement

কম নম্বর পেয়েও কী করে পেলেন চাকরি? নিয়োগ দুর্নীতিতে SSC-র কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

মোট ৮ লক্ষ আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় বসেন। চতুর্থ পর্বের নিয়োগের আগে এসএলএসটি প্রার্থীদের চূড়ান্ত যোগ্যতা প্রমাণের পর পছন্দের স্কুল নির্ণয়ের সময়ে অর্থাৎ চতুর্থ কাউন্সিলিংয়ের সময় গরমিল ধরা পড়ে।

কম নম্বর পেয়েও কী করে পেলেন চাকরি? নিয়োগ দুর্নীতিতে SSC-র কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদন: নবম, দশম শ্রেণি ও একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন এর কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১৬ ই ডিসেম্বর SSC-কে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। কোন পদ্ধতিতে অপেক্ষাকৃত কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পেলেন, অথচ বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা বঞ্চিত রইলেন SSC-কে তা ব্যাখ্যা করতে বলেছে আদালত।

মামলাকারীদের দাবি, ২০১৬ সালে ১৬,০০০ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে SSC। বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এই চারটি বিষয়ে নবম দশম ও একাদশ এবং দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন। মোট ৮ লক্ষ আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় বসেন। 
চতুর্থ পর্বের নিয়োগের আগে এসএলএসটি প্রার্থীদের চূড়ান্ত যোগ্যতা প্রমাণের পর পছন্দের স্কুল নির্ণয়ের সময়ে অর্থাৎ চতুর্থ কাউন্সিলিংয়ের সময় গরমিল ধরা পড়ে। দেখা যায়, বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস এবং রাষ্ট্র বিজ্ঞানে প্রায় ৪০ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর মামলাকারীদের থেকে অনেক কম। শুধু তাই নয়, নিয়োগ তালিকার নিচের দিকে নাম থাকা সত্বেও ওই প্রার্থীরা নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছেন। 

অযোধ্যা রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করল জামাত

বিষয়টি নিয়ে SSC-র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলা কারীরা। অভিযোগ, SSC-র তরফে কোনও সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে চলতি বছরের মামনি বসাক, স্বাগতা বিশ্বাস-সহ ১৯ জন প্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। 
মামলা শুনানি চলাকালীন মামলাকরীদের আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী আদালতে জানান, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেন তাদের চাকুরি থেকে বঞ্চিত করা হলো? যাঁদের নিয়োগ হল তারা মামলাকারীদের থেকেও অনেক কম নম্বর পেয়েছেন। তার পরেও কী করে নিয়োগপত্র পেলেন তাঁরা? পরীক্ষার নামে প্রহসন হয়েছে বলেও আদালতে দাবি করেন তিনি। 

চাকুরিপ্রার্থীদের সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ SSC-র আইনজীবী সুতনু পাত্রের কাছে জবাব তলব করেছেন। আগামী ১৬ ডিসেম্বর কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা রিপোর্ট আকারে আদালতে জমা দিতে হবে SSC-কে। 

Read More