অর্ণবাংশু নিয়োগী: ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। নয়া চেয়ারম্যান নির্বাচনে এবার স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্ট। কতদিন? যতদিন না পরবর্তী নির্দেশ দিচ্ছে আদালত। আপাতত পুরসভার দায়িত্ব সামলাবেন নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী, কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু।
ব্যবধান মাত্র তিন দিনের। ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করে দেন মহকুমাশাসক। চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে। কেন? হাইকোর্টে মামলা করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: PM Awas Yajana, Central Team: ঘরের লোভে মেয়েকে জা সাজালেন মা! তাজ্জব কেন্দ্রীয় দল
এদিন মামলাটির শুনানি হয় অমৃতা সিনহার এজলাসে। শুনানিতে বিচারপতি জানতে চান, 'হেরে যাওয়া দলের প্রতিনিধিকে কেন বারবার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে? প্রশাসনের এত তাড়া কীসের'? জবাবে সরকারি আইনজীবী বলেন, 'সকলেই পুরপ্রতিনিধি। আইন অনুযায়ী, যেকোন প্রতিনিধিকেই চেয়ারম্য়ানের দায়িত্ব দিতে পারে প্রশাসন'। বিচারপতির অমৃত সিনহার মন্তব্য, 'হেরে যাওয়া দল থেকে সুদীপ কর্মকারকে নির্বাচন করলেন। আদালতকে একটু সম্মান করুন'। ১০ ফ্রেরুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর আগে, ঝালদা পুরসভার আস্থাভোটে হেরে যায় তৃণমূল। কংগ্রেসকেই সমর্থন করেন ৩ নির্দল কাউন্সিলর। কিন্তু বোর্ড গঠন করা যায়নি! কেন? তৃণমূল কাউন্সিলর জবা মাছোয়াড়কে ঝালদা পুরসভার প্রশাসক পদে বসানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোট। স্রেফ প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ নয়, যতদিন না চেয়ারম্যান নির্বাচন হচ্ছে, ততদিন জেলাশাসককে ঝালদা পুরসভার দায়িত্ব সামলানোর নির্দেশ দেয় আদালত। শেষপর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশেই ১৬ জানুয়ারি চেয়ারম্যান নির্বাচন হয় ঝালদা পুরসভায়।