অর্ণবাংশু নিয়োগী: স্কুলে সহপাঠীদের মারে মুখ, নাক থেকে রক্তপাত। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় দশম শ্রেণীর ছাত্রের। ছেলেকে মেরে, মেরে ফেলা হয়েছে অভিযোগ মৃত অভিনব জালানের মায়ের। বিধায়ক এবং ভদ্রেস্বর পুরসভার একজন পদাধিকারী মৃতের বাড়িতে গিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বলেছিলেন, দাবি মামলাকারীর। তার জন্যে পুরসভা এবং বিধায়ক তরফ থেকে মোট ২০ লক্ষ টাকাও দেওয়ার কথা বলেছিলেন, দাবি মামলাকারীর।
আরও পড়ুন:Disaster in Sikkim: বিপর্যস্ত সিকিম! বড়সড় দুর্যোগে নিখোঁজ ৬, এখনও আটকে ১১৩ পর্যটক...
মামলায় উল্লেখ, ২৭ মিনিটে অটোপসি শেষ করে দেহ ছাত্রের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মৃতদেহ দাহ করতে বাধ্য করে পুলিস, দাবি পরিবারের। আরও অভিযোগ, স্কুলের মধ্যে এমন ঘটনার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে অন্যান্য ছাত্রদের পরিবার বিক্ষোভ দেখায়। তারপরেই বিধায়ক এবং শাসক দলের লোকেরা ভয় দেখিয়ে সেই বিক্ষোভ তুলতে বাধ্য করে।
পুলিসের থেকে সাহায্য না পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তদন্তের আবেদন করে। তিন মাসের বেশি হলেও তদন্ত অগ্রগতি নেই। এবার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে দ্বারস্থ ছাত্রের মা। মৃতের বাড়ি ভদ্রেশ্বর থানা এলাকার চাঁপদানিতে।
আরও পড়ুন:India Beats China: চিনকে টেক্কা দিল ভারত! তালিকাতেই নেই দেউলিয়া পাকিস্তান...
উল্লেখ্য, একটু বেশি সময় পড়াশোনা করতে বলেছিলেন বাবা। আর তাতেই ভয়ংকর কাণ্ড ঘটিয়ে বসল মেয়ে। বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে দশম শ্রেণির ছাত্রী। শোকের ছায়া পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম অম্বিকা কীর্তনীয়া। বাড়ি, ভাতার থানার নবাবনগরের সাহেবগঞ্জ এলাকায়। পরিবারের সূত্রে খবর, সারাদিনে খুব সময়ই পড়াশোনা করত অম্বিকা। বেশিরভাগ সময়টাই ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিত! এই নিয়ে মেয়েকে বকাবকিও করতেন অম্বিকার বাবা। এই নিয়ে বাবা বকাবকি করায় কীটনাশক খেয়ে ফেলে অম্বিকা। ১২ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকা সত্ত্বেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)