বাসুদেব চট্টোপাধ্য়ায়: গোরুপাচার কাণ্ডে বর্তমানে জেলে অনুব্রত মণ্ডল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তিনি বাইরে না আসতে পারলে জেলা তৃণমূলের সব অঙ্ক কি উলটে পালটে যাবে? তা কি হতে দিতে পারেন না অনুব্রত। সূত্রের খবর আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে বসে পঞ্চায়েত ভোটের ছক কষছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন তাঁর এক সময়ের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। জেলে গিয়ে বসে নেই অনুব্রত। শোনা যাচ্ছে কখনও জেলকর্মীদের সঙ্গে তো কখনও অন্য় কয়েদিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে চলেছেন। কীভাবে তিনি বোলপুর ও বীরভূম থেকে সিপিএমকে বিতাড়িত করেছিলেন, কী ভাবে সংগঠন দাঁড় করিয়েছেন তা শোনাচ্ছেন কয়েদিদের। পাশাপাশি বিজেপিকেও যে মাথা তুলতে দেওয়া হবে না তাও তিনি মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন-নিজের অফিসে ডেকে খেলোয়াড়কে শ্লীলতাহানি! ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত আইওএ কোষাধ্যক্ষ
অনুব্রতর পর বীরভূমের দায়িত্বে কে? এনিয়ে বেশ চাপেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম বা বিজেপি অনুব্রত গ্রেফতারের পর রাস্তায় নেমে উল্লাস করলেও ভোটের বাক্সে তার কী প্রতিফলন হবে সেটাই এখন রাজনৈতিক আলোচনার বিষয়। তবে গ্রেফতারের পর যেমনটা দেখা গিয়েছিল সেই শরীরিভাষা আর নেই। জেল সূত্রে খবর, এখন অনেকটাই চাপমুক্ত অনুব্রত। শোনা যাচ্ছে কেষ্টবাবু এমনটাও বলছেন, জেলের ভেতরে থাকলেও পঞ্চায়েত ভোটে জিতবে তৃণমূল। বিজেপিকে মাথা তুলে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। চড়াম চড়াম ঢাক বাজবে। উন্নয়ন রাস্তায় দেখা যাবে। জেলের ভেতর থেকে সেটা করা অসম্ভব নয়। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতারের পর পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের এলাকায় গিয়ে অনুব্রতর হয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই অনেকটা চাঙ্গা অনুব্রত। শোনা যাচ্ছে জেলে অনুব্রত এমনটাও বলছেন, মমতার মতো নেত্রী পৃথিবীতে নেই।
বীরভূমে যেমন সারাদিন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা সরকারি কর্মীরা তার কাছে যেমন আসতেন আসানসোল সংশোধনাগারে অনেকটা ঐরকমই কাটছে অনুব্রত মন্ডলের বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।। একপ্রকার দরবার বসছে। অনেক গরিব কয়েদি আছেন। তাদের দেখাশোনা করছেন তিনি। ৫০০-১০০০ টাকার জন্যে অনেকের জামিন হচ্ছে না। তাদের জামিনও অনুব্রত করছেন বলে জানা গেল জেল সুত্রে। অর্থাৎ এখানেও সংগঠন করছেন অনুব্রত।