নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের ১০৮ পুরসভার ভোটে বিধ্বস্ত বিরোধীরা। বাম ও অন্যান্যরা দখল করেছে একটি করে পুরসভা। এনিয়ে বিরোধীদের বিঁধলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
কয়েক দিন আগেই অনুব্রত বলেছিলেন ফলপ্রকাশের দিন পাঁচটার পর হকি খেলা হবে। সাংবাদিকরা এনিয়ে প্রশ্ন করতেই অনুব্রত বলেন, ফল প্রকাশের পর ধস নেমে গিয়েছে বিরোধী শিবিরে। কেউ খেল ১০টা গোল, কেউ খেল ২০টা গোল। আর কী! বিরোধীদের মনমেজাজ খারাপ হয়ে গেছে। আর খেলতে রাজী নয়। ফ্যান্টাস্টিক খেলা হল। একতরফা হয়ে গেল। তবে যেই হারুক বা জিতুক খেলা তো আর বন্ধ হবে না।
পুরভোটের ফলাফলে সিপিএম ছাড়া আর কারও অস্তিত্ব নেই। নদিয়ার মজিলপুর পুরসভা দখল করেছে সিপিএম। বিজেপি যেখানে পারল না সেখানে সিপিএম এমন ফল করল কীভাবে? অনুব্রত বলেন, তবুও তো সিপিএম সব জায়গায় ভোট পেয়েছে। ওরা ২০১৯ সালে যে ভুলটা করেছিল তার সংশোধন করেছে। ফলে আবার কিন্তু সিপিএম ভোট পাচ্ছে। আমার এখানেও দুশো ভোট পেয়েছে। সিপিএম সব জায়গায় মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ তাদের কিছু সংগঠন রয়েছে। আর সিপিএম দলটা তো আর নরেন্দ্র মোদীর(Narendra Modi) মতো মিথ্যাবাদীর দল নয়!
এবার পুরভোটে এরকম ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি হল কীভাবে? অনুব্রতর ব্যাখ্য়া, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দিয়েছে। ভাঁওতাবাদ বিজেপি বিধানসভা ভোটে অনেক বড় বড় কথা বলেছিল। মানুষ সেই মিথ্যা কথার জবাব দিয়েছে। সামনে তেইশের পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার বলছি, বিডিও অফিস ঘিরবে না। যে যার ইচ্ছে মতো মনোনয়ন ফাইল করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী ভোট হবে। আবার প্রত্যেক পঞ্চায়েতে জয়জয়কার হবে তৃণমূল কংগ্রেসের। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রয়েছে। এই ভোট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) ভোট। সংগঠন ছিল। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে ভোট হয়েছে।
আরও পড়ুন-TMC প্রার্থী এগিয়ে ২৩৪ ভোটে, শ্রীরামপুরের ১ বুথে পুনর্নির্বাচন