Home> রাজ্য
Advertisement

South 24 Parganas: প্রথমে শারীরিক নির্যাতন, তারপর খুন করে খড়ের গাদায় রেখে জ্বালিয়ে দেয় স্বামী!

South 24 Parganas: জ্বলন্ত খড়ের গাদা থেকে উদ্ধার অজ্ঞাত মহিলার অগ্নিদগ্ধ দেহ! অবশেষে নিহত মহিলার পরিচয় পাওয়া গেল। তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য...

South 24 Parganas: প্রথমে শারীরিক নির্যাতন, তারপর খুন করে খড়ের গাদায় রেখে জ্বালিয়ে দেয় স্বামী!

নকিব উদ্দিন গাজী: ফলতা থানার গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বুদাগ্রামে জ্বলন্ত খরের গাদার মধ্যে থেকে উদ্ধার মৃত মহিলার অবশেষে পরিচয় মিলল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা বিষ্ণুপুর থানার নয় হাজারী ,মোল্লাপাড়ার এলাকার বাসিন্দা। মৃত ওই মহিলার নাম মুসলিমা খাতুন। প্রেম করে বিয়ে করেছিল ফলতা থানার এলাকার গোপালপুরের, বুদা গ্রামের বাসিন্দা গোলামকে। গোলাম মুসলিমার বাড়ির কাছে দর্জির কাজ করত। সেই কাজের সুবাদে প্রেম হয় বলে জানা যায় মৃত মহিলার পরিবার থেকে, পরে বিয়ে করে। 

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News 

সাংসারিক অশান্তি কারণে বেশ কিছুদিন তাদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। সেই কারণে ওই মহিলা তার বাপের বাড়িতেই থাকত। তাদের একটি কন্যা সন্তানও আছে বলে জানা যায়। মাঝেমধ্যে গোলাম তার স্ত্রী মুসলিমাকে ফোন করত। ফোনে যোগাযোগ থাকলেও শ্বশুরবাড়িতে আসেনি মুসলিমা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, রমজানের রোজার পড়ার কারণে বেশ কিছু জিনিসপত্র কিনে দেবে বলে গোলাম ফোন করেছিল মুসলিমাকে। আর সেই মতন মঙ্গলবার কাউকে না জানিয়ে ওই দিনে মুসলিমকে  বাপের বাড়ি থেকে বাইকে করে নিয়ে আসে গোলাম।

অভিযোগ রাতে ওই মহিলাকে শারীরিক অত্যাচার করে এরপর মেরে খড়ের গাদার মধ্যে রেখে আগুন লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনার সঙ্গে গোলামের আরও অনেক বন্ধু-বান্ধব ছিল বলে ওই মহিলার পরিবারের দাবি। এরপর ওই মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন মুসলিমাকে বারবার ফোন করে ফোনের সুইচ অফ ফোন থাকায় কোনও যোগাযোগ হয় না। তারপরে গোলামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। এর মধ্যেই বুধবার দিন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশ পায় খরের গাদা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার  মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেই খবর দেখার পরে পরিবারের লোকজন খোঁজখবর শুরু করে। 

নারীদিবস উপলক্ষ্যে আমাদের বিশেষ প্রতিবেদন: Women's Day 2025 | দুর্গা নারী, কিন্তু পুজোটা পুরুষদের, তাই হয়তো ভয় লাগে: অদিতি | আলোর ৬টা

অবশেষে ফলতা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই মৃত মহিলার পরিবারের লোকজন। তাদের মেয়ের পরনে কী ছিল বেশ কিছু বিবরণ দেওয়ার পরে মিলে যায়, মৃতদেহ শনাক্ত করে পরিবারের লোকজন। পুলিসের স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই মহিলার স্বামী মঙ্গলবার রাতে  নিয়ে এসে পুড়িয়ে মেরে আবার ওই রাতেই চলে যায় কাজের জায়গায় অর্থাৎ বিষ্ণুপুর থানার নয় হাজারী এলাকায়।

এই ঘটনা পিছনে তার স্বামী গোলমের হাত আছে বলে পরিবারের দাবি। পুলিসকে বলার পর শুক্রবার দিন সন্ধ্যায় ওই যুবককে গ্রেফতার করে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত আছে, এবং কী কী ঘটেছিল, কখন মেরেছিল, কী দিয়ে মেরেছিল একাধিক বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ফলতা থানার পুলিস।

 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More