বিমল বসু: ছট পুজোর ইতিহাস বেশ পুরনো এবং এই পুজোর উৎপত্তি প্রায় হাজার বছরের বেশি পুরনো বলে ধরা হয়। প্রাচীন কালে আর্যরা সূর্যকে শক্তির উৎস মনে করে পূজো করত। মণিকর্ণিকা ও কাশীর মতো তীর্থস্থানে এই পুজোর প্রচলন থাকলেও, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের অঞ্চলে ছট পুজো বিশেষ মর্যাদায় পালন করা হয়। প্রথম দিন স্নান, দ্বিতীয় দিন খরনা, তৃতীয় দিন সন্ধ্যা অর্ঘ্য এবং চতুর্থ দিন ঊষা অর্ঘ্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় চার দিনব্যাপী উৎসব।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: শীত পড়তেই পরিযায়ী পাখির দেখা! সাগরপারের পাখির ডানার রঙে উজ্জ্বল আকাশ...
বসিরহাটে বেশ কয়েকটি বিহারী মানুষ বাস করে মূলত তারাই এই ছট পুজো করেন। মূলত একটি পরিবেশকেন্দ্রিক উৎসব, যেখানে প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে সূর্যকে সন্তুষ্ট করার প্রথা প্রচলিত। ছট মহাপর্বের সূচনা হয় স্নান ও খাওয়ার মাধ্যমে। এই উপবাসকে খুবই কঠিন বলে মনে করা হয়, এই উপবাসে মহিলারা একটানা ৩৬ ঘণ্টা উপবাস রাখেন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'বাংলায় থাকেন তাই আপনার বাড়িও...', ছট পুজোয় কাদের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
ছট পুজোর আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পরিবারের স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করা। এতে মা ও সন্তানের কল্যাণ কামনা করা হয়। এই পুজোতে সূর্যের পাশাপাশি গঙ্গা ইছামতী ও যমুনা দেবীকে পূজা করা হয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই পুজোতে অংশ নেয় এবং বিশেষভাবে মহিলারা উপবাস করেন সন্তান ও পরিবারের মঙ্গলার্থে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)