অয়ন ঘোষাল: বৃহস্পতিবার বঙ্গ সফরে আসেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সফরে ডাক পাননি একদা বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ফের অমিত শাহের সফরেও ব্রাত্য দিলীপ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'বড় নেতারা আমাকে না ডাকলে আমি যাইনা। বড় নেতাদের একটা মান সম্মান আছে। ওঁরা যাদের ডাকেন তাঁরা যান। আমি যাইনা। আমার যাওয়ার প্রয়োজন হয়না। প্রয়োজন হলে তারা ডাকেন। কি করতে হবে তারাই বলেন। আমি জাস্ট ওটা পালন করি।'
দিলীপকে প্রশ্ন করা হয়, ওয়েস্টিন থেকে আপনার বাড়ির দূরত্ব সাকুল্যে দেড় কিলোমিটার- উত্তরে তিনি বলেন, 'আগে যেতাম। তখন প্রেসিডেন্ট ছিলাম। উনি এলে স্বাগত জানাতাম। ওঁর সঙ্গে থাকতাম। এখন অন্যরা সেইসব দায়িত্ব সামলায়। আমি কার্যকর্তাদের সঙ্গেই থাকি আজকাল।'
আরও পড়ুন:Breaking News LIVE Update: বীভত্স বাসন্তী! বৌদির গলা কেটে মুণ্ডু হাতে থানায় দেওর...
অভিমান হয়?
দিলীপ বলেন, 'কিসের অভিমান? একটা ট্রেন্ড আছে নেতার পিছনে পিছনে ঘোরা। কারণে অকারণে নেতার পিছনে ১০০-২০০ লোক দাঁড়িয়ে থাকে। নেতা দেখাও করেনা কিছুই করে না। এটা একটা কালচার। আপনারা হয়তো ভাবেন এটাই ঠিক। বিজেপির একটা ডিসিপ্লিন আছে যে প্রোগ্রামে কাউকে যেতে বলা হয় কর্মীরা সেখানেই যান। কোন নেতা কোথায় যাবে সেটা দল ঠিক করে। আমি ওটা মেনে চলি। ওটাইকেই আমরা ডিসিপ্লিন বলি।'
কেষ্ট কাহিনী
অনুব্রত প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, 'দশ বছর ধরে ওঁর ভাষা শুনছি। আমার সম্পর্কে ওঁর ডায়লগ শুনেছি। উনি দলের কর্মীদের সঙ্গে কী ভাষায় কথা বলেন সেটা শোনার সৌভাগ্য হল এইবার। মমতা এরকম কিছু নেতা বাংলাকে উপহার দিয়েছেন। যারা বাংলার সংস্কৃতিকে কলুষিত করছেন। একটা পার্টি যার সব নেতা করাপ্টেড। ম্যাক্সিমাম নেতা কেউ জেলে গিয়েছে কেউ ফিরে এসেছে কেউ যাওয়ার প্রহর গুনছে। এরকম পার্টির কি কালচার তাও দেখতে পাচ্ছি। মানুষ হাহাকার করছেন, মুক্তি চাইছেন। পশ্চিমবঙ্গের এতো অধঃপতন দেখব কোনোদিন ভাবিনি।'
দিলীপকে আরও জিজ্ঞাসা করা হয়, অনুব্রত পদে না থেকেও এত রোয়াব কেন? উত্তরে তিনি বলেন, 'টাকা কামানোর সোর্স গুলো ওঁর কাছে আছে। তৃণমূলে কে কোন পদে আছে এটা কোনো গুরুত্ব নেই। কার কাছে টাকা আছে গুণ্ডা আছে সেটাই আসল। তিনি কোনোদিন বিধায়ক সংসদ মন্ত্রী হননি। তাও তার যা দাপট ওখানে পাথর বালি গরু কয়লা সব ওঁর হাতে। একটা লোক ৫০০ কোটি টাকার মালিক এটা একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসেই সম্ভব।'
সাংবাদিকরা দিলীপকে পালটা প্রশ্ন করেন, আপনিও তো কু কথা বলতেন একসময়? তিনি বলেন, 'আমি মজা করতাম। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কোনোদিন আক্রমণ করিনি। প্রশাসনের কাউকে ছোট করিনি। ডিসিপ্লিনের বাইরে কোনোদিন যাইনি। কেউ বিনা কারণে কিছু বললে তার প্রতিবাদ করার অধিকার আমার আছে আমি সেটাই করেছি।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)