দেবব্রত ঘোষ: রামনবমীতে অশান্তির ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যদের আটকে দেওয়া হল দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায়। আজ রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় ফাইন্ডিং কমিটির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল এসে পৌঁছালে তাদের ঢুকতে বাধা দেয় হাওড়া সিটি পুলিস।
আরও পড়ুন-বাবার পরকীয়ার মাসুল দিতে হল দুধের শিশুকে, অল্পের জন্য বাঁচল গৃহবধূ
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে জানানো হয় বর্তমানে শিবপুরে যেখানে অশান্তি ছড়িয়ে ছিল সেখানে ১৪৪ ধারা রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে তারা ওই জায়গায় প্রবেশ করলে আইন শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে। নতুন করে কোনো রকম অশান্তি যাতে না ঘটে সেই কারণেই তাদের যেতে অনুমতি দেয়নি হাওড়া সিটি পুলিসের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। এই নিয়েই দু পক্ষের মধ্যে বাক বিতর্ক চলতে থাকে প্রায় ঘন্টা খানেক। তবুও যাবার অনুমতি না পেয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে ফিরে যান কমিটির সদস্যরা। গোটা বিষয় নিয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে তাঁদের আটকে দেওয়াকে আইন বহির্ভূত বলে দাবি করছেন।কমিটির সদস্য (প্রাক্তন বিচারপতি পাটনা হাইকোর্ট) নরসীমা রেড্ডী জানান পুলিস রাজনৈতিক নেতাদের মত আচরণ করছে। সবাই শিবপুরে যেতে পারলেও তাদের আটকানো হলো।বিষয়টি তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জানাবেন।
অন্যদিক, গতকাল রিষড়ায় যেতেই পারেনি কেন্দ্রের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। এলাকায় ঢোকার আগেই তাদের আটকে দেয় পুলিস। কারণ এলাকায় চলছে ১৪৪ ধারা। তাই সেখানে যাওয়া যাবে না। এদিকে, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের দাবি, পুলিসের আটকানোর কোনও অধিকার নেই।
প্রতিনিধি দলের সতদস্য রচপাল সিং বলেন, যে ভিডিয়ো আমাদের সামনে এসেছে তাতে মনে হয়েছে পুলিস ফ্রেন্ডলি ম্য়াচ খেলছে। তাই আমরা সব কথা সামনে গিয়ে সেইসব নির্যাতিত লোকজনের কাছ থেকে শুনতে চাই বুঝতে চাই। ওদের সঙ্গে কথা বলেই বুঝতে চাই কী হয়েছিল সেদিন।
কথা ছিল রামনবমীর গোলমালের জেরে মানবাধিকারের লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল। তাই দিল্লির ফ্য়াক্ট ফাইন্ডজিং টিম ঠিক করেছিল রিষড়া গিয়ে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলবেন, চন্দননগর পুলিস কমিশনারাটের আধিকারীরদের সঙ্গে দেখা করবেন। নির্ধারিত সময়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের ৫ সদস্য তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্য বের হলেন। কিন্তু গন্তব্যের অনেক আগেই টিমের ৬ সদস্যকে আটকে দেওয়া হল রাস্তায়। দিল্লির রোড গার্ড রেল দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় শ্রীরামপুরের বাঙ্গুহাটি এলাকায়। ফলে আটকে পড়ে দিল্লির ওই টিম।
পুলিসের দাবি, এলাকায় ১৪৪ ধারা চলছে। তাই কোনও প্রতিনিধি দলকেই রিষড়া যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ওই কথা শুনে রাস্তাতেই আটকে পড়েন প্রতিনিধিরা। রাস্তায় দাঁডিয়ে তাঁরা পুলিসকে বোঝানেরা চেষ্টা করেন কোনও গোলমাল পাকানোর উদ্দেশ্যে নয়, পুলিসকে সহযোগীতা করতেই এসেছেন। ১৪৪ ধারা যাতে লঙ্ঘিত না হয় তার জন্য ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের একজন করে প্রতিনিধি এক একটি এলাকায় যাবেন। তবে দিল্লি রোড ও জিটি রোডে ব্যারিকেড করে রাখে পুলিস। চারু ওয়ালি খান্না বলেন, পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙেও যাতে পারি কিন্তু তা চাই না।