Home> রাজ্য
Advertisement

Bardhaman Snakebite: স্থানীয় চিকিত্সকও বুঝতে পারেননি সাপে কামড়েছে, যখন বোঝা গেল তখন আর...

Bardhaman Snakebite: ওষুধ খেয়েও কোনও উন্নতি না হওয়ায় বিষ্ণুকে নিয়ে আসা হয় সিয়ানের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিত্সা শুরু হলেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি

Bardhaman Snakebite: স্থানীয় চিকিত্সকও বুঝতে পারেননি সাপে কামড়েছে, যখন বোঝা গেল তখন আর...

অরূপ লাহা: বাড়ির লোকজন বুঝতেই পারেনি ছেলেকে সাপে কামড়েছে। যখন জানতে পারলেন তখন অনের দেরি হয়ে গিয়েছে। সময়মতো অসুস্থতার কারণ ডাক্তার বুঝে উঠতে না পারায় মর্মান্তিক পরিণতি হল ৫ বছরের শিশুর। গায় জ্বর ছিল। সঙ্গে সর্দি-কাশি। তারই চিকিত্সা চলছিল এলাকার ডাক্তারের কাছে।

কয়েকদিন ধরেই সর্দি-কাশি-জ্বর হয়েছিল মুর্শিদাবাদের বড়োঞা থানার পানুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা গোপাল ভল্লার ৫ বছরের শিশু বিষ্ণু ভল্লার। অসুস্থ হয়ে পড়ায় ৩-৪ দিন আগে তাকে সাঁইথিয়ার এক চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। জ্বর-সর্দি থাকায় ওই চিকিত্সক কিছু ওষুধ লিখে দেন। কিন্তু ওষুধ খেয়েও কোনও উন্নতি না হওয়ায় বিষ্ণুকে নিয়ে আসা হয় সিয়ানের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিত্সা শুরু হলেও অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। 

এরকম এক পরিস্থিতিতে শিশুটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। বর্ধমানে বিভিন্ন পরীক্ষার পর চিকিত্সকেরা বুঝতে পারেন শিশুটিকে সাপে কামড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্সা শুরু হলেও কোনও উন্নতি হয়নি। শেষপর্যন্ত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি।

আরও পড়ুন-আমগাছের মগডালে ১৩ ফুট লম্বা কিং কোবরা! উদ্ধার করতে বন দফতরের কর্মীরা সাপটির সামনে যেতেই ঘটে গেল...

আরও পড়ুন-'কল্যাণীর স্নিগ্ধ মাটি, লাল-হলুদের শক্ত ঘাঁটি', ডার্বিতে শিল্পাঞ্চলে জ্বলল মশাল...

অন্যদিকে, গভীর রাতে কালাচ সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রসুলপুরে। বিছানাতেই তাকে সাপে কামড়ায়। গভীররাতেই ব্যাগে করে সাপ ধরে নিয়ে সোজা হাসপাতালে পরিবার। তবুও হল না শেষরক্ষা! মৃত্যু হল নবম শ্রেণীর ছাত্রের। মৃতের নাম রনি তুড়ি(১৫)।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে,শনিবার রাতে খাওয়াদাওয়ার পর বিছানাতে শুয়ে থাকা অবস্থায় রনি তুড়িকে সাপে কামড়ায়।বিষয়টি জানাজানি হতেই পরিবারের সদস্যরা সাপটিকে ধরে ব্যাগবন্দি অবস্থায় রনি তুড়িকে মেমারী হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি বর্ধমান মেডিকেলে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রনি তুড়ির।

তারা বাবা মিলন তুড়ি জানান, 'রাতে বিছানায় সাপে কামড়ায়। ছেলে বলার পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবুও শেষরক্ষা হল না।'

উল্লেখ্য, ভয়ংকর বিষাক্ত সাপ এই কালাচ। ফণা থাকে না। গুলিয়ে যায় ঘরচিতি সাপের সঙ্গে। বাইরে থেকে দেখে বোঝাও যায় না কামড়ের দাগ। তাই অনেক রোগীই মারা যায় এর কামড়ে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More