কায়েশ আনসারি: বিমল গুরুংয়ের অনশন, জিএনএলএফ এর আদালতের কড়া নাড়ার পর এবার পাহাড়ে হচ্ছে জিটিএর নির্বাচন। আজ জিটিএর ৪৫ আসনে ভোট নেওয়া হবে। এর জন্য আজ প্রস্তুতি তুঙ্গে। কালিম্পং, কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়ের ডিসিআরসি সেন্টারগুলিতে থেকে ভোটের সরঞ্জাম বিলি করা হচ্ছে।
পাহাড়ে জিটিএর ক্ষমতায় কে, এনিয়ে নজর রয়েছে সব দলের। দার্জিলিং সফরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিটিএ নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। এর বিরোধিতা করে অনশনে বসেছিলেন বিমল গুরুং।
এবার নির্বাচনে নেই বিজেপি ও জিএনএলএফের মতো দলগুলি। কিন্তু উল্লেখযোগ্য যেসব দল এবার লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে তারা হল অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি। গত পুরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করেছিল হামরো পার্টি। এছাড়া রয়েছে অনিত থাপার দল। নির্দলরাও প্রায় ২০০ বেশি প্রার্থী। এর পাশাপাশি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বিনয় তামাং। ফলে তৃণমূলও এবার লড়াই দিতে পারে।
এবার পাহাড়ের নির্বাচনে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবার ৪৫ আসনের জন্য লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন ২৭৭ প্রার্থী। এর মধ্যে ২১০ প্রার্থীই নির্দল। অনিত থাপার বিজিপিএম এবার দিয়েছে ৪৫ প্রার্থী। হামরো পার্টিও দিয়েছে ৪৫ প্রার্থী। তৃণমূলের তরফে মনোনয়ন দিয়েছেন ১০ জন। সিপিএম দিয়েছে ১২ প্রার্থী। মোট ৯২২টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোট দেবেন ৭ লাখ ৩২ হাজার ভোটদাতা।