Home> রাজ্য
Advertisement

তৃণমূলে হুমায়ুন কবীর, প্রার্থী হচ্ছেন ভোটে; ক্ষমতায় এসে জবাব দেব : লকেট

রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানো ইস্তফা পত্রে ব্যক্তিগত কারণই দেখিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। তবে তখন তাঁর রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা উস্কে উঠেছিল।

তৃণমূলে হুমায়ুন কবীর, প্রার্থী হচ্ছেন ভোটে; ক্ষমতায় এসে জবাব দেব : লকেট

নিজস্ব প্রতিবেদন : তৃণমূলে যোগ দিলেন চন্দননগরের প্রাক্তন পুলিস কমিশনার হুমায়ুন কবীর। আজ কালনায় মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় শাসকদলে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন তিনি। এবার বিধানসভা নির্বাচনে হুমায়ুন কবীরকে প্রার্থী করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত মার্চ মাসে অবসরগ্রহণের কথা ছিল হুমায়ুন কবীরের। তবে জানুয়ানির শেষ সপ্তাহেই ইস্তফা দেন তিনি। উল্লেখ্য, তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতা দাস মাসদুয়েক আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

এদিকে হুমায়ুন কবীর তৃণমূলে যোগ দিতেই তাঁকে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি। তোপ দাগেন, "আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল। যখন তেলেনিপাড়ায় হিংসার ঘটনা ঘটে, তখন আমি ও অর্জুনদা বার বার ঢোকার চেষ্টা করেছিলাম। উনি ঢুকতে দেননি। হিংসার ঘটনায় উনি ইন্ধন জুগিয়েছেন। উনি বরাবরই তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন। আমরা বার বার বলেছি, প্রশাসনের ৫০ শতাংশ-ই তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। আমরা সংসদে বলেছি। নির্বাচন কমিশনে বলেছি। আর সেই জন্যই আমরা দাবি করেছি, তৃণমূলের হয়ে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের যেন নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হয়। মে মাসে আমরা ক্ষমতায় আসার পর এদের সবার জবাব দেব।"

প্রসঙ্গত, রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানো ইস্তফা পত্রে ব্যক্তিগত কারণই দেখিয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। তবে তখন তাঁর রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা উস্কে উঠেছিল। ২০০৩ ব্যাচের আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর। দুষ্কৃতী দমনের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাতেও বেশ পারদর্শী ছিলেন তিনি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন থেকে হাতকাটা দিলীপকে গ্রেফতার করে লাইমলাইটে এসেছিলেন হুমায়ুন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যেরও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন হুমায়ুন। একাধিক বাহুবলীকেও জব্দ করেছেন এই দুঁদে পুলিস অফিসার। 

আরও পড়ুন, রাজীব-শুভেন্দুকে 'মায়ের কুসন্তান', 'দুষ্টু গরু' তোপ মমতার

তবে মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার থাকার সময়ে একটি ধর্ষণের মামলা নিয়ে বিতর্কে জড়ান হুমায়ুন। একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে বদলি করা হয় ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সদর ) পদে। সেখানে বেশ কয়েকদিন কাটিয়ে কলকাতা পুলিসে যুগ্ম কমিশনার (প্রশাসন) পদে যোগ দেন তিনি। এরপর চন্দননগরের পুলিস কমিশনার হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন, 'কেন্দ্রের ৩ আইনে বিপদে কৃষকরা', বর্ধমানে মাটি উৎসবের মঞ্চে সুর চড়ালেন Mamata  

Read More