প্রবীর চক্রবর্তী: 'তৃণমূলে নবজোয়ার'। যাত্রাপথে ফের কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে এবার মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়িতে ভাঙচুর, তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা! সূত্রের খবর, দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাস্থল, ঝাড়গ্রাম।
সংরক্ষণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষেরা। অবরোধ-বিক্ষোভে মাঝেই জঙ্গলমহলে অভিষেক। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ। এদিন ঝাড়গ্রামে পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রোড-শো করেন দহিজুড়ি,বিনপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায়।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: 'কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে যান', পুরুলিয়ায় দলীয় বৈঠকে বার্তা অভিষেকের
ঝাড়গ্রাম থেকে তখন লোধাশুলির পথে অভিষেক। রাতে স্থানীয় গড় এলাকায় রাস্তার পাশে জমায়েত করেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। এরপর অভিষেকের কনভয় আসতেই শুরু হয়ে যায় স্লোগান-বিক্ষোভ। পুলিসি নিরাপত্তা দ্রুত বের করে নিয়ে যাওয়া হয় কনভয়। বস্তুত, কিছুটা দূরে গিয়ে যখন গাড়ি থেকে হাঁটতে শুরু করেন অভিষেক, তখনও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কুড়মিরা।
এদিকে অভিষেকের কনভয়ের পিছনে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বাইকে চালিয়ে আসছিলেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও। স্রেফ তাঁদের উপর হামলা নয়, মন্ত্রীর গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
এর আগে, বাঁকুড়ায় ২ জায়গায় অভিষেকে কনভয় আটকে দিয়েছিলেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। তখন গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অভিষেক। তাহলে কেন ঝাড়গ্রামে ফের বিক্ষোভ? সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন অভিষেক। স্রেফ দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নয়, ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপারে কাছে রিপোর্টও তলব করেছেন মমতা।
এদিকে ঝাড়গ্রামে আসার আগে পুরুলিয়ায় দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেক। সূত্রের খবর, বৈঠকে তিনি বলেন, 'কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে যান। রাজ্যে সরকারের তরফে চেষ্টার কথা বোঝান। জনপ্রতিনিধিদের এই কাজটুকু করতে হবে'।