কায়েশ আনসারি: পিছিয়েছে বর্ষা। তীব্র গরমে নাজেহাল বঙ্গবাসী। রেহাই নেই পাহাড়েও। কোথায় একটু ঠান্ডার খোঁজে পাহাড়ে যাবেন কিন্তু সেখানেও নাকি সিলিংয়ে ঘুরছে ফ্যান, ঘরে আসছে এসি। কার্শিয়াঙে (Kurseong) শুক্রবার তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। দোকানে দেদার বিকোচ্ছে ফ্যান। কার্শিয়াং দ্বিতীয় চেরাপুঞ্জি হিসাবে পরিচিত কারণ বাংলায় এখানেই সর্বাধিক বৃষ্টিপাত ঘটে। ৫ মে অবধি প্রায় প্রতিদিনের বৃষ্টিপাত ঘটেছে কার্শিয়াঙে, কিছু সময় ভারী বৃষ্টিপাতও হয়েছে।
কিন্তু তাতে গরম কমেনি। তবে গত ৮ দিন গরম কেমন দেখতে কার্শিয়াঙের দিকে তাকাতেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। এদিন ২৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা অনুভূত হয়। যার ফলে সারাবছর ঠান্ডা পোশাক পরা মানুষজন ফ্যান চালাচ্ছেন। এই বছর আবহাওয়া বিভাগ বলেছিল, ১০ দিন আগে বর্ষা আসছে, তবে তা তো হয়ইনি বরং পিছিয়ে গিয়েছে বর্ষা। পাহাড়ের জন্য বর্ষাকাল এখনও শুরুই হয়নি।
যেখানে দার্জিলিঙের থেকে কার্শিয়াং ৩৬ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সেখানে বৃষ্টিপাতও নেই। এদিকে বৃষ্টি না হলেও দার্জিলিঙে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি। মৌসুমী বায়ু হঠ্যাৎ দুর্বল হয়ে পড়ায় রোদের দাপটে পুড়ছে পাহাড় থেকে সমতল। অন্যদিকে সিকিমের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রির কাছাকাছি ঘোরাঘুরি করছে। দার্জিলিং-র সামান্য দূরে বিজনবাড়ি, লেপচাজগৎ -এ তাপমাত্রা আরও বেশি।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের মতে, এই পরিস্থিতি সাময়িক। বরং দিনে এত গরম পড়লে সন্ধের পরে অবশ্যই বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি হবেই। এ দিনই যেমন বিকেলের দিকে গ্যাংটকে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টি নামে। রাতের দিকে কিছুটা হলেও আবহাওয়ায় স্বস্তি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন, Molestation Case: সকলকে ছুটি দিয়ে নাবালিকার সঙ্গে অশালীন কাজ! মাকে সব ঘটনা খুলে বলতেই...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)