জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার-- এই চার জেলায় জারি হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট। এই জেলাগুলিতে আগামী ২৪ ঘণ্টা জুড়ে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন অবশ্য প্রস্তুত। এই জেলাগুলিতে যাঁরা নদীতীরবর্তী এলাকায় বাস করেন তাঁদের এই অরেঞ্জ অ্যালার্ট সম্বন্ধে অবহিত করা হয়েছে। তাঁদের সতর্কও করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে উত্তর সিকিমের পরিস্থিতি প্রায় একই রকম রয়েছে। সেখানে রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। উত্তর সিকিম একেবারে বিচ্ছিন্নই। বৃষ্টি চলছে, ধসও পড়ে চলেছে। তবে সুখবর, পর্যটকদের নামিয়ে আনা গিয়েছে। তবে সিকিম প্রশাসন ভ্রমণের জন্য নতুন করে কোনও পারমিট ইস্যু করছে না। ট্রাভেল এজেন্সিগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। নতুন করে কোনও টিম নিয়ে পাহাড়ে ওঠায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Kalyani AIIMS Recruitment: বাবা-মেয়ের বয়ানে বিস্তর ফারাক, সিআইডি জেরায় পাল্টি খেলেন নীলাদ্রি!
গ্যাংটকের পরিস্থিতিও সংকটপূর্ণ। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস। শিলিগুড়ি থেকে যে রাস্তাটি গ্যাংটকে পৌঁছয়, যেটি প্রায় লাইফলাইন-স্বরূপ, সেটি সাময়িক বন্ধ হয়েছে। রংপো থেকে গ্যাংটক যাওয়ার এই রাস্তায় ফের ধস। আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। তবে আজ, মঙ্গলবার থেকে এই রাস্তা ওয়ান ওয়ে করে দেওয়া হয়েছে। যাতে অন্তত চলাচল জারি থাকে। তবে ব্যাপক যানজনট রয়েছে।
গতকালই জানা গিয়েছিল, একটানা প্রবল বৃষ্টিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ভেঙে পড়েছিল। বন্ধ যান চলাচল। উত্তর সিকিমের নানা জায়গায় ধসে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেশ কিছু রাস্তা। একটানা প্রবল বৃষ্টিতে গত কয়েকদিন ধরেই বিপর্যস্ত ছিল সিকিম। উত্তর সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। পাহাড় থেকে ঘন ঘন বোল্ডার পড়ছে রাস্তার উপর। হোটেলে আটকে পড়েছিলেন বহু পর্যটক। তাঁদের অনেকেই পশ্চিমবঙ্গের।
গতকাল সোমবারই সিকিম প্রশাসন সতর্ক করেছিল, রাস্তা খোলা থাকলেও রাতে কোনও অবস্থাতেই যেন গাড়িতে করে যাতায়াত না করা হয়। কুয়াশার চাদরে মোড়া রয়েছে উত্তর সিকিমের অধিকাংশ এলাকা। এর উপর বৃষ্টি।
সিকিমের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এ রাজ্যের প্রশাসনও। বন্ধ ছিল গ্যাংটক থেকে সিংতাম যাওয়ার রাস্তা। সিকিমের বৃষ্টির প্রভাব পড়ছে উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতেও। বাড়ছে জল।