Home> রাজ্য
Advertisement

Live: তারাপীঠে JP Nadda, হারানো সংস্কৃতি বাংলাকে ফিরিয়ে দেব আমরা, আসল পরিবর্তন হবে'

Live: তারাপীঠে JP Nadda, হারানো সংস্কৃতি বাংলাকে ফিরিয়ে দেব আমরা, আসল পরিবর্তন হবে'
LIVE Blog
09 February 2021
09 February 2021 13:00 PM

অণ্ডাল বিমানবন্দরে নামলেন BJP-র সর্বভারতীয় সভাপতি JP Nadda. বীরভূমের চিলার মাঠে সভায় যোগ দেবেন তিনি। সেখান থেকে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ যাবেন ঝাড়গ্রামে। বিজেপির পরিবর্তন রথযাত্রার সূচনা করবেন তিনি। তার পর সিধু-কানহু মূর্তিতে মাল্যদান। সব শেষে খড়গপুরে একটি পথসভায় যোগ দেবেন জগত্ প্রকাশ নাড্ডা।  

ইতিমধ্যে তারাপীঠে গিয়ে পুজো দিয়েছেন মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।

তারাপীঠে পুজো দিলেন জেপি নাড্ডা। তাঁর সঙ্গে পুজো দিলেন বাবুল সুপ্রিয়,  দিলীপ ঘোষ। 

তারাপীঠ থেকে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন নাড্ডা। খেলার মাঠ থেকে রথের রশিতে টান। 

বিজেপির রথযাত্রার সূচনা করতে রামপুরহাট চিলার মাঠে পৌঁছলেন জেপি নাড্ডা।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে শাল ও ফুল দিয়ে বরণ করে নিলেন বীরভূম জেলা বিজেপির কর্মীরা।

জেপি নাড্ডা বললেন,

''শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নাম উচ্চারণ করলে গর্বে বুক চওড়া হয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গের অস্তিত্ব রক্ষা করেছিলেন তিনি। ভারতকে অখণ্ড রাখতে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন তিনি। বাংলার সংস্কৃতি ও দেশের জন্য জীবন দান করেছিলেন। তবে ওঁর আত্মবলিদান ব্যর্থ হয়নি। দেশে এক আইন, এক সংবিধান থাকবে, এটাই চেয়েছিলেন তিনি। এখন তো সেটাই হয়েছে।''

''যে বাংলাকে সংস্কৃতির জন্য আমরা চিনতাম, যে বাংলার শিক্ষার জন্য পরিচিত ছিল, সেই বাংলায় বিকাশ আটকানোর চেষ্টা চলছে। এখন ভাইয়ের সঙ্গে ভাইকে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে শোসন করছে মমতা দিদির সরকার। এই সরকারের পরিবর্তন করতে হবে। এই বাংলায় শিক্ষা, সংস্কৃতির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। বাংলা ভক্তি, শক্তির জন্য পরিচিত। একটা সময় সারা দেশকে দিশা দেখাত বাংলা। সেসব তৃণমূল সরকারের আমলে আর নেই।''

এখানে প্রধানমন্ত্রী বারবার আনাজ পাঠিয়েছেন। কিন্তু ওই আনাজ গরীবের ঘরে ছিল না। ছিল তৃণমূল নেতাদের ঘরে। প্রত্যেককে পাঁচ কিলো চাল, এক কিলো ডাল দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এখানেই চালচোররা সব চুরি করে নিল।

৬৭৫ কিমি হাইওয়ে হবে কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী বাংলার কথা ভাবেন। ওঁর মনে বাংলা আলাদা জায়গায রয়েছে।

ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের জন্য টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  

বাংলার চা বাগানের জন্য এক হাজার কোটি টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এটা কিন্তু মুখের কথা নয়। চা বাগানের শ্রমিকদের বিকাশের কথা ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলার ২০ লাখ লোকের ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পের সূচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

মমতাদি মাকে সম্মান দেয় না, মাটিকে ভালবাসে না। 

আমার নামের সঙ্গেও বিশেষণ জুড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা কি বাংলার সংস্কৃতি! 

দুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারীর বাবাকে নিয়ে কুকথা বলেছিল ভাইপো। 

তোলাবাজি, দুর্নীতি, কাটমানির রাজনীতি করে তৃণমূল।

কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প নকল করেছে বাংলার সরকার। তাতে কিছু আসে যায় না। ওসব প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর নামেই থাকবে। মোদীজি বাংলার মানুষের হৃদয়ে আছেন। 

আমাদের ১৩০ কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আমরা শহীদদের তর্পণ করেছি। এটা কোন বাংলা! 

কথা বলার স্বাধীনতা আর বাংলায় নেই। রোজ গণতন্ত্রের হত্য়া হচ্ছে। বাংলায় ঘরোয়া হিংসার ঘটনা ৩৫ শতাংশ। ধর্ষণের ঘটনা, নারী পাচারে বাংলা এখন শীর্ষে। এসব রিপোর্ট জানতে পারলে কষ্ট হয়। বাংলায় আইন ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। 

প্রধানমন্ত্রীর আয়ুষ্মান ভারতের লাভ পেয়েছে দেড় কোটি মানুষ। কিন্তু বাংলার মানুষ বঞ্চিত। এবার আপনারাই বাংলায় পরিবর্তন আনুন। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাবেন।  

বাংলার কৃষকরা প্রত্যেকে ১৮ হাজার টাকা পাবে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই রাজ্যে কৃষকদের দুরাবস্থা আর চোখে দেখা যাচ্ছে না।

আম্ফানে দুর্গতদের জন্য ২৭০০ কোটি টাকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তৃণমূল সরকার সব টাকা খেয়ে নিল। CAG রিপোর্ট চাইল। মমতাদি চলে গেল সুপ্রিম কোর্ট।

তৃণমূলের রাজনীতির কোনও আদর্শ নেই। আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে নিজেদের লাগিয়ে দেয়।

আমরা বহিরাগত সংস্কৃতি আমদানি করছি না। আমরা এখানে হারানো সংস্কৃতি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করব। এখানে মানুষ কাজ পাবে। বাইরের রাজ্যে যেতে হবে না কাউকে। নিজেদের বাড়িতে, আপনজনদের সঙ্গে থাকবে সবাই। আপনারাই এবার আসল পরিবর্তন আনুন।

 

 

 

 

Read More