নিজস্ব প্রতিবেদন: স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিত বুদ্ধিতেই ধরা পড়ল পানিহাটি কাউন্সিলার হত্যার মূল আততায়ী। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গোটা ঘটনায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে পুলিস।
গুলিতে নিহত তৃণমূল কাউন্সিলর (TMC Councilor) অনুপম দত্তর (Anupam Dutta) ঘাড়ে এবং মাথায় গুলি লাগে বলে অভিযোগ। পরে বেলঘড়িয়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor)। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁর অনুগামীরা। পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায় আততায়ী। আশ্রয় নেয় ৫০০ মিটার দূরের একটি হোগলা বনে।
রবিবার রাতে ঘটনার পরে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই পাশের হোগলা বনে লুকিয়েছিল দুষ্কৃতী মূল অভিযুক্ত অমিত পণ্ডিত। রাত ১২টা নাগাদ অন্ধকারে এলাকার এক বাসিন্দা আন্দাজ করেন কেউ লুকিয়ে রয়েছে সেখানে। রাতের আবছা আলোয় গাছ-পাতা নড়তে দেখেন তিনি। এরপরেই অন্যান্য স্থানীয় বাসিন্দা এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দারা সবাই বাড়ির আলো জ্বালিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: তোলা তুলতে বাধা ব্যবসায়ীর, বোতল দিয়ে মাথা ফাটাল মদ্যপ যুবক
যেখানে লুকিয়ে ছিল আততায়ী সেই গলিটা ঘিরে ফেলেন বাসিন্দারা। নানা ভাবে চেষ্টার পরেও আততায়ী না বেরিয়ে আসায় হোগলা বনের একদিকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে ভয়ে হোগলা বন থেকে বেরিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় বাসিন্দারা আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরে ফেলে অমিত পণ্ডিতকে।
স্থানীয় মানুষরা উদ্যোগ নিয়ে খুঁজে বার করেন ওই আততায়ীর মোবাইল। ওই দুষ্কৃতি যেখানে আশ্রয় নিয়েছিল সেখানে থেকেই খুঁজে পাওয়া যায় মোবাইলটি। এছাড়াও পাওয়া যায় ট্রেনের টিকিট।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এই গোটা ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে পুলিস। তাঁদের দাবি স্থানীয় মানুষরা উদ্যোগ না নিলে ধরা পড়তনা ওই আততায়ী।