নিজস্ব প্রতিবেদন: তিল তিল করে যাকে বড় করেছেন সেই ছেলে ও তার বউয়ের অত্যাচার পৌঁছেছিল চরম সীমায়। প্রাণ নিয়ে নিজের ঘরই ছাড়তে বাধ্য হন মধ্যমগ্রামের ঋষি অরবিন্দ রোডের বৃদ্ধা নীলিমা মুখোপাধ্যায়(৬৩)। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রায় এক বছর পর ঘর ফিরে পেলেন ওই বৃদ্ধা।
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে মারা যান নীলিমার স্বামী জয়দেব মুখোপাধ্যায়। তার পর থেকেই অত্যাচার শুরু বিএসএফে কর্মরত ছেলে ও তার বউয়ের। বৃদ্ধার অভিযোগ, তাকে ঠিকমতে খেতে দেওয়া হতো না। রান্না ঘরে যেতে দেওয়া হতো না। ২০২১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে লোহার রড দিয়ে মেরে ঘর থেকে বের করে দেয় ছেলে ও তা বউ।
ওই অত্যাচারের প্রতিকার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন নীলিমাদেবী। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থারের এজলাসে নীলিমার যন্ত্রণার কাহিনী তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবী সৌগত মিত্র ও রামেশ্বর সিনহা। ওইসব কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, মধ্যমগ্রামের অফিসার ইন চার্জ নীলিমাদেবীকে ঘরে ফেরাবেন। তাঁর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিয়ম করে পুলিসকে টহল দিতে হবে এবং অভিযুক্ত ছেলে ও বউমাকে সতর্ক করবেন। যদি ভবিষ্যতে এরকম আর কোনও অভিযোগ আসে তাহলে ছেলে ও বউমাকে বাড়িছাড়া হতে হবে।
আরও পড়ুন-Hanskhali: 'থানায় গেলে মেরে দেওয়ার হুমকি দেয় ওরা', হাঁসখালিকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি নির্যাতিতার বাবার