Home> রাজ্য
Advertisement

Mamata Banerjee on Atrocities on Bengalies: Watch: সাংঘাতিক সন্ত্রাস! চাঁচলের বাসিন্দা মা-শিশুর উপর দিল্লি পুলিসের ভয়ংকর নির্যাতন...

Mamata Banerjee on Atrocities on Bengalies: Watch: বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের থানায় আটকে বাথরুম সাফাই সহ একাধিক কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুললেন চাঁচলে তাদের পরিবারের সদস্যরা  

Mamata Banerjee on Atrocities on Bengalies: Watch: সাংঘাতিক সন্ত্রাস! চাঁচলের বাসিন্দা মা-শিশুর উপর দিল্লি পুলিসের ভয়ংকর নির্যাতন...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে হেনস্থা করা হচ্ছে বাঙালি শ্রমিকদের। বাংলাদেশি হিসেবে দেগে দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে। বাংলায় কথা বলার জন্য আটকে রাখা হচ্ছে। হরিয়ানা, রাজস্থানের মতো জায়গায় বাংলার বিভিন্ন জেলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে অত্যাচার চলছে। মুখ্য়মন্ত্রীর সোচ্চার হওয়ার পর হরিয়ানায় আটক ৩০ জনকে ছেড়ে দিল হরিয়ানা সরকার। কিছুদিন আগে এভাবেই রাজস্থানে বাঙালি শ্রমিকদের আটকে রেখে হেনস্থা করা হয়। এনিয়ে এবার সোচ্চার হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রবিরার এক্স হ্যান্ডেলে এক শিশুর ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে দেখানো হয়েছে শিশুটির উপরে অত্যাচারের চিহ্ন। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'দেখুন, দিল্লি পুলিস মালদার চাঁচলের এক পরিযায়ী পরিবারের এক শিশু ও মা-কে কি নিষ্ঠুরভাবে মেরেছে!! দেখুন, বাঙালিদের বিরুদ্ধে বিজেপির ভাষা সন্ত্রাসে একটি শিশুরও পরিত্রাণ নেই!! দেশকে এরা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে!?' এর পাশাপাশি গতকাল তিনি একটি পোস্টে লেখেন, নিউ ইয়র্কের সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ লিখেছে কীভাবে বাঙালিদের হেনস্থা করা হচ্ছে, তাদের জোর করে বিভিন্ন রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য।

উল্লেখ্য, বিজেপি শাসিত হরিয়ানায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের থানায় আটকে বাথরুম সাফাই সহ একাধিক কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুললেন চাঁচলে তাদের পরিবারের সদস্যরা। বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে গাদাগাদি অবস্থায় রাখা হয় শ্রমিকদের বলে অভিযোগ। তাও আবার অন্তর্বাস পরিয়ে। অর্থাৎ নগ্ন করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য সরকারের তৎপরতায় মালদার চাঁচলের ৭ শ্রমিক পুলিসের জাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ,থানায় বাথরুম ও অন্যান্য ঘর সাফাইয়ের কাজ করানো হয় শ্রমিকদের । চাঁচলের কলিগ্রাম অঞ্চলের আলম আলি ও তার শ্বশুর মশাই আনেসুর রহমান হরিয়ায়ানার গুরগাঁও এ দীর্ঘদিন ধরেই সপরিবারে ছিলেন। সঠিক নথি দেখানোর পরেও সাতদিন আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি বার্তা যেতেই শ্রমিকদের ছাড়তে বাধ্য হয় সেখানকার পুলিস। স্থানীয় কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রেজাউল খান বলেন, প্রথমে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়। নথি যাচাই করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে শুনেছি। কিন্তু এইভাবে অত্যাচার কেন? শুধু কী বাংলা বলায় অপরাধ!পশ্চিমবঙ্গে তো এমনটা হয় না।

আরও পড়ুন-আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, ভারতের নাগরিক হতে গেলে থাকতে হবে এই ৪ নথি

আরও পড়ুন-আতঙ্কের নাম SIR! ভোটার তালিকায় নাম টিকিয়ে রাখার জন্য লাগবে কোন ১১ নথি, জেনে নিন

এদিকে, বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাঙালিদের বিতাড়ন নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতারা।  পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হয়রানির জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরে মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র চালু করলেন হেল্প ডেস্ক। দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে যাওয়া বাংলা ভাষাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বাড়ছে হয়রানি। কখনো পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া হচ্ছে, আবার কখনো তাদের আটকে রেখে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ, এমনকি মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর, গঙ্গারামপুর ও কুশমন্ডি এলাকার একাধিক শ্রমিকের সঙ্গেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে হরিয়ানা পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে অন্তত ২৩ জন শ্রমিকের তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এমনকি গঙ্গারামপুর, কুশমন্ডি ও হরিরামপুর এলাকা থেকে ১১ জন শ্রমিককে আটক করারও অভিযোগ উঠেছে। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার ও স্থানীয় মহলে।

অন্যদিকে, ফের বেলাগাম হুমায়ুন কবির। নাম করে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে রবিবার ভরতপুরে সভা করেন হুমায়ুন কবির। সেই সভা থেকেই ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে হুমায়ুনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।  হুমায়ুন কবির বলেন, ভোটার লিস্ট সংশোধনের কাজে এলাকায় নজরদারি করবে তৃণমূল। বিজেপি নেতাদের মদতে নির্বাচন কমিশন নাম কাটলে বরদাস্ত করবে না তৃণুমূল। হুমায়ুন বলেছেন,  বিহারের মতো এই রাজ্যে করলে বিজেপি নেতাদের আমরা বাড়ি থেকে বেরাতে দেব না  । সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, শমীক ভট্টাচার্য  শুভেন্দু অধিকারীদের বাড়ি ঘেরাও করা রাখা হবে। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করে যেভাবে উলটো পালটা কাজ হচ্ছে। সেভাবে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করলে অন্তত মুর্শিদাবাদে  বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে বেরোতে দেবেন না, দাবি হুমায়ুনের।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More