দেবব্রত ঘোষ: কিছুদিন আগেই হাওড়ার পাঁচলায় একটি গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪৯ লাখ টাকা। গ্রেফতার হয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস বিধায়ক। সেই টাকার উত্স খুঁজতে গিয়ে বিশাল ষড়যন্ত্রের কথা বেরিয়ে এসেছে। পুলিসের দাবি ওই টাকা বিধায়ক কেনার জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল। এবার খোদ হাওড়া স্টেশন থেকে উদ্ধার হল ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দুই যুবককে সন্দেহ হওয়ায় তাদের ব্যাগ পরীক্ষা করতেই বেরিয়ে আসে ওই বিপুল টাকা। আটক দুই যুবকেই ভিন রাজ্যের। ওই টাকার উত্স কী তা বলতে পারেনি ওই দুজন। পাশাপাশি, কোথায় তারা ওই টাকা নিয়ে যাচ্ছিল তার যুক্তিগ্রাহ্য কোনও ব্যাখ্যা তারা দিতে পারেনি। ফলে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন-'প্রতিটা ফাইল দেখে সই করুন, পাইলট গাড়ি ব্যবহার নয়', মন্ত্রীদের ফরমান মমতার
বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সের ৪ নম্বর ও ৫ নম্বর গেট দিয়ে ওই ২ যুবককে সন্দেহজনকভাবে বের হতে দেখা যায়। দুজনের কাঁধেই ছিল কালো ব্যাগ। সন্দেহ হওয়ায় ওই দুজনকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কর্তব্যরত আরপিএফ জওয়ান। খুলে দেখা হয় তাদের ব্যাগ। আর ব্যাগ খুলেতেই বেরিয়ে পড়ে বিপুল টাকা। দেখা যায় দুজনের ব্যাগে রয়েছে মোট ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ওই টাকা তারা কোথায় কী উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল তার কোনও যুক্তিপূর্ণ জবাব তারা দিতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে আটক ২ যুবক জানিয়েছে কলকাতা থেকে সোনার গহনা কেনার জন্যই তারা ওই টাকা নিয়ে এসেছিল।
আটক দুই যুবকের নাম রুস্তম আনসারি(৩৯) ও শুভম ভার্মা। রুস্তমের বাড়ি বিহারের বক্সার জেলায়। অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার বাসিন্দা শুভম। ওই টাকা আয়কর দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই হাওড়া স্টেশনে এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ২ কোটিরও বেশি টাকার সোনা। ওইদিন হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্স থেকে এক যাত্রী ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বের হচ্ছিলেন। সেইসময় তাকে আটকে দেন আরপিএফ জওয়ানরা। ওই যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করতেই তাজ্জব আরপিএফ। ভেতর থেকে পড়ে ৫ কেজি ১৩৫ গ্রাম ওজনের সোনার গহনা। ওই সোনার বাজার মূল্য ২ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। আটক করা হয় ওই যাত্রীকে।
ললিত কুমার নামে ওই যাত্রী আটক সোনার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আরপিএফের সূত্রে খবর, ললিত কোয়েম্বাটুরের বাসিন্দা। তাঁরসোনার গহনার দোকান রয়েছে কলকাতায়। ভুবনেশ্বরের দুই দোকানদারের অর্ডার পেয়ে দক্ষিণ ভারত থেকে সোনা নিয়ে যান ভুবনেশ্বরে। কিন্তু সেই দুই দোকানদার অর্ডার বাতিল করে দেন। সেই সোনা নিয়ে কলকাতায় আসছিলেন কলকাতা।