নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই ছেলের বউকেই পছন্দ করতেন না। অশান্তি লেগেই থাকত। সোমবার সেই অশান্তি চরমে ওঠে। অভিযোগ, দুই বইমার গায়ের কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় শাশুড়ি। ছোট ছেলের স্ত্রী পালালেও, পালাতে পারেননি বড় ছেলের স্ত্রী। তাঁর দেহের অধিকাংশই পুড়ে গিয়েছে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। গ্রেফতার অভিযুক্ত শাশুড়ি।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে, ভদ্রেশ্বর তেলিনিপাড়া এফ জি রোডে। সেখানকার বাসিন্দা হীরালাল মাহাত। স্ত্রী রামপতি মাহাত, দুই পুত্র এবং তাঁদের সংসার নিয়ে সেখানে বসবাস করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই হীরালাল মাহাতর স্ত্রী দুই ছেলের বউদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিল। পরিবার নিয়ে দুই ছেলেকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিল সে। তাকে মদত দিত বিবাহিত একমাত্র মেয়ে। বাড়িতে থাকলেও জল, বাথরুম কোন কিছুই ব্যবহার করতে দেওয়া হত না দুই ছেলে এবং তাদের পরিবারকে। বাথরুমের দরজা ও জানালার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
অভিযোগ, সোমবার ছেলেরা যখন বাড়ি ছিল না, তখন দুই বউমার সঙ্গে অশান্তি শুরু করে রামপতি মাহাত। এরপর ঘর থেকে ৮ লিটার কেরসিন তেল এনে দুই বউমার গায়ে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় সে। ছোট ছেলের স্ত্রী পালিয়ে যায় কিন্তু বড় ছেলের স্ত্রী আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়। চিৎকার শুনে ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তাঁরাই বড় বউকে প্রথমে চন্দননগর হাসপাতালে এবং পরে চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, তার দেহের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। ভদ্রেশ্বর থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিস অভিযুক্ত শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। হীরালাল মাহাত জাান, তিনি স্ত্রীকে সমর্থন করতেন না। প্রতিবাদ করলেও রামপতি মাহাত কোনও শোনেননি। ঠাকুমার পাশাপাশি পিসিরও শাস্তির দাবি জানিয়েছে হীরালালের নাতি সংগীত মাহাত।