Home> রাজ্য
Advertisement

Pak Spy Arrested: থানার উলটোদিকের নার্সিংহোমেই ভর্তি ছিল পাক-চর! দেখা করতে আসত 'প্রেমিকা'ও! মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য...

Pak Spy Arrested from Bengal: মেমারি পাওয়ার হাউসের পাশে ঈপ্সিতা অ্যাপার্টমেন্টের একতলায় ঘরভাড়া। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা ছিল টার্গেট। মহিলা সেজে তাঁদের সঙ্গে...

Pak Spy Arrested: থানার উলটোদিকের নার্সিংহোমেই ভর্তি ছিল পাক-চর! দেখা করতে আসত 'প্রেমিকা'ও! মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য...

পার্থ চৌধুরী: পাক-চর (Pak Spy) সন্দেহে বর্ধমান থেকে ধৃত মুকেশ রজক ও রাকেশ গুপ্তা। জানা গিয়েছে, ধৃত রাকেশ গুপ্তা বর্ধমান থানার উলটো দিকে একটি নার্সিংহোমেই চিকিৎসাধীন ছিল। নার্সিংহোমের ম্যানেজার প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ জানান,  ওই ব্যক্তি ৩০ জুন তারিখে হার্নিয়া চিকিৎসার জন্য নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিল। তার পেটে ব্যাথা, বমি সহ নানা উপসর্গ ছিল। এক মেডিসিন ডাক্তারের অধীনে ভর্তি হয় ধৃত রাকেশ গুপ্তা। 

নার্সিংহোমেই জেরা
তিনি জানান, ৩ জুলাই  এসটিএফের টিমের আধিকারিকরা তাঁর কাছে এসে নিজেদের পরিচয় দেন। রাকেশ গুপ্তাকে জেরা করার কথা বলেন। জেরার পর বর্ধমান থানার আইসি জানান, রোগী ছাড়া পাওয়ার আগে যেন পুলিসকে জানানো হয়। চারদিকে এসটিএফ-এর পাহারা বসানো হয়। ৪ জুলাই রাকেশ গুপ্তার ছুটি হওয়ার পর নার্সিংহোমের বাইরে বেরোতেই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এসটিএফ (Pak spy arrested from Bardhaman)। নার্সিংহোমের ম্যানেজার প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ আরও জানিয়েছেন, রোগীকে দেখতে তার বাবা, দাদা ও এক মহিলা আসতেন। ওই মহিলা তার প্রেমিকা বলেই জানিয়েছিল ধৃত রাকেশ। 

মেমারির ঈপ্সিতা অ্যাপার্টমেন্টে ঘরভাড়া
রাকেশের বয়স ৩৪ বছর। বর্ধমানে বসে পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত রাকেশ ও মুকেশ। এখানে বসে তারা পাক গোয়েন্দাদের ওটিপি শেয়ারের মাধ্যমে ভারতীয় নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ চালু করতে সাহায্য করে। জানা গিয়েছে, ধৃত ২ যুবক মেমারির একটি অ্যাপার্টমেন্টের একতলায় ভাড়া নিয়ে থাকত। মেমারি পাওয়ার হাউসের পাশে ঈপ্সিতা অ্যাপার্টমেন্টের একতলায় ঘর ভাড়া নিয়েছিল ২  যুবক। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই বাড়িতে প্রচুর লোকজন আসত। তারা দীর্ঘ রাত পর্যন্ত থাকতও। তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত ২ যুবক হানিট্র্যাপ করে ভারতের গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করত। 

সেনা আধিকারিকদের হানিট্র্যাপ!
তারা পূর্ব বর্ধমানের মেমারি, বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলার দোকান থেকে বেনামে সিম কার্ড তুলত। তারপর সেই মোবাইল নাম্বারগুলিতে হোয়াটসঅ্যাপ খোলার জন্য গুপ্তচর সংস্থার হাতে পাঠাত। হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ওটিপি শেয়ার করত। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মোবাইল নাম্বারগুলিই হানিট্র্যাপের কাজে ব্যবহার হত। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা ছিল টার্গেট। মহিলা সেজে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করত ধৃতরা। তারপর হানিট্র্যাপের 'শিকার'দের কাছ থেকে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তা পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাচার করা হত।

আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: আজই দুয়ে দুয়ে চার? দিল্লিতে দিলীপ ঘোষকে 'পার্টির বড় নেতা'র তলব!

আরও পড়ুন, Tantrik torture killed woman: 'গর্ভধারণ' করতে তরুণীকে টয়লেটের নোংরা জল খাওয়ায় তান্ত্রিক, তারপর চলে... নারকীয় অত্যাচারে মর্মান্তিক পরিণতি...

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

Read More