জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: গত বিধানসভা নির্বাচনে আরামবাগ আসন থেকে হেরেছিলেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের লড়াইয়ে নামছেন। বাঁকুড়া জেলা পরিষদে লড়াই করছেন সুজাতা মণ্ডল। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাঁকুড়া ৪৪ নম্বর আসন থেকে। জয়পুরের তিনটি ব্লকের মধ্যে একটি ব্লকে লড়াই করবেন সুজাতা। ওই ৩ ব্লকে শক্তিশালী তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-কমিশনের লাখ লাখ টাকা মেরে দিয়েছেন কালীঘাটের কাকু, আদালত চত্বরে তুলকালাম পাওনাদারের
গত লোকসভা নির্বাচনে আদালতের নির্দেশের জেরে তাঁর বিষ্ণুপুর লোকসভায় প্রচার করতে পারেননি বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। স্বামীর হয়ে দাপিয়ে প্রচার পরিচালনা করেছিলেন সুজাতা। জিতেছিলেন সৌমিত্র। তার পরে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। গত বিধানসভা নির্বাচনে আরামবাগ থেকে লড়াই করেন। খানকুলে তাঁর উপরে হামলাও হয়। ওই আসনে অবশ্য তিনি বিজেপির কাছে পরাজিত হন। তবে এবার বাঁকুড়া জেলা রাজনৈতিক মহলের খবর, জেলা পরিষদ তিনি এমন একটি আসনে থেকে লড়াই করছেন যেখানে তৃণমূল শক্তিশালী। ফলে তাঁর জয়ের একটা সম্ভাবনা থাকছেই।
২০২১ সালের ৬ এপ্রিল বিধানসভা ভোটের দিন বুথ দখলের খবর পেয়ে আরামবাগ লাগোয়া আরান্ডির মহল্লাপাড়ার একটি বুথে যান সুজাতা। খবর ছিল তৃণমূল সমর্থকদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে যাওয়ার পথে বিজেপি সমর্থকরা তাঁকে লাঠিসোঁটা নিয়ে তাড়া করে বলে অভিযোগ। সুজাতার অভিযোগ, তাঁকে অশ্রাব্য় গালিগালাজ করা হয়। বিজেপি কর্মীরা বাঁশ, চেলা কাঠ নিয়ে তাঁকে তাড়া করে। মারধরও করে।
এদিকে, সৌমিত্র খাঁ ও সুজাতা মণ্ডলের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হওয়া ডিভোর্সের মামলা চলছে আদালতে। একসময় সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ তোলেন 'তৃণমূল ছেলেদের মেধাচুরি, গরুচুরির পর আমার মা লক্ষ্মীকেও চুরি করে নিয়েছে। চুরিটা পেশায় পরিণত করেছে ওরা। আজ থেকে আমি অকৃতদার। কেউ নেই আমার। কৈফিয়ত দেওয়ার কেউ নেই। খালি এটাই বলি, মা লক্ষ্মীকে চুরি করে রাস্তার ময়লা না করে দেয়। মা-বাবা মারা গেলে মেনে নিতে হয়। সুজাতা আজ থেকে মৃতপ্রায়। সুজাতা লড়াইয়ে সঙ্গ দিয়েছিল। ও ভাল থাকুক।'
টানা ১০ বছরের সম্পর্কের চেয়ে কি দল বড় হয়ে গেল? সৌমিত্র খাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন সুজাতা। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেছিলেন,'পরিবার ও রাজনীতিকে মেলাইনি। যাঁর জন্য এত কিছু করলাম, জীবনে ১০টা বছর দিলাম। বাবা-মার অমতে বিয়ে করেছি। ওকে আজও ভালবাসি, আগামিকালও ভাসব। দলের জন্য ১০ বছরের সম্পর্কে ইতি টানছে, তাহলে সত্যিই কি ঘরের লক্ষ্মী ছিলাম?'